স্বামী বাইরে কাজ করেন। এদিকে শনিবার বড় মেয়ের জন্মদিন ছিল। তাই তাঁকে বারবার করে বাড়ি আসার জন্য বলেছিলেন স্ত্রী। কিন্তু স্বামী তা সত্ত্বেও বাড়ি না আসায় জন্মদিনের দিনই বড় মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে নিজের গায়েও আগুন দিল মা ! বাদ যায়নি ছোট মেয়ে, তারও গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। বীরভূমেরলাভপুরের ঘটনা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মা ও একরত্তি ছোট মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সাড়ে পাঁচ বছরের বড় মেয়ে।
লাভপুরের বিষয়পুর গ্রামের আহ্লাদি ধীবরের সঙ্গে বিয়ে হয় স্থানীয় সুকুমার ধীবরের। গ্রামবাসীদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই আহ্লাদি ও সুকুমারের মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। এদিকে সুকুমার ধীবর বোলপুরে গাড়ি চালাতেন। ফলে তিনি বাড়ি থাকতেন না। শনিবার তাঁর বড় মেয়ে পিউ-এর জন্মদিন ছিল। মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আহ্লাদি স্বামীকে বাড়িতে আসতে বলেন। কিন্তু সুকুমার স্ত্রীর কথা শোনেননি, তিনি শনিবারও আসেননি।
প্রতিবেশীদের দাবি, এরপরই আহ্লাদি বড় মেয়ে পিউ ও সাড়ে তিন বছরের ছোট মেয়ে মৌসুমীকে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর তিনজনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মা ও দুই মেয়ের প্রবল চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাঁরা দরজা ভেঙে তিনজনকে উদ্ধার করে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অহ্লাদি ধীবর ও তাঁর ছোট মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় বড় মেয়ে পিউ ধীবরকে সিউড়ি সদর হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
এটি আত্মহত্যা নাকি খুন তা খতিয়ে দেখছে লাভপুর থানার পুলিশ।