স্ত্রী’কে হত্যার পর ১২ টুকরো করে তাঁর দেহ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাহেবগঞ্জের বোরিও থানা এলাকার একটি পুরনো ভাঙা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু দেহাংশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবক দিলদার আনসারির দু’টি বিয়ে। বেশ কয়েকদিন ধরেই তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুবিকা নিখোঁজ ছিলেন। এরপর সেই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তাঁর স্বামী দিলদার আনসারিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দেহ হয়। পরে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। অবশেষে টানা জেরার মুখে পুলিশকে স্ত্রীকে খুনের লোক হর্ষক তথ্য দেয়।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সন্ধায় সাহেবগঞ্জের সেই পরিত্যক্ত ভাঙা বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সাহেবগঞ্জ এলাকার পুলিশ সুপার বলেন, দিলদারকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গেছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই সে নিজের স্ত্রী’কে খুন করেছে। পুলিশের ধারণা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবিকাকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করতে বৈদ্যুতিক করাত ব্যবহার করেছিল সে।