ক্লাস ফাইভের নাবালিকাকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে সারা হস্টেল ঘোরাল সুপার। চরম অমানবিক ঘটনা ঘটেছে মধ্য়প্রদেশের বেতুল জেলার একটি হস্টেলে। সুপারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন নাবালিকার পরিবারের লোকজন।
পুলিশ জানিয়েছে, চোর সন্দেহে বাচ্চা মেয়েটির সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ করেন হস্টেলের সুপার। তার দাবি ছিল, মেয়েটি নাকি টাকা চুরি করেছে। তাই ‘শাস্তি’ দিতে বাচ্চাটিকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে সারা হস্টেলে ঘুরতে বাধ্য করা হয়।
গত সপ্তাহে বেতুল জেলার দামজিপুরা গ্রামের একটি সরকারি হস্টেলে এই ঘটনা ঘটেছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্কুল পড়ুয়াদের থাকার জন্যই ওই হস্টেল। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেছেন, টাকা চুরির দায় চাপিয়ে এমন ব্যবহার করা হয়েছে মেয়েটির সঙ্গে। হস্টেল সুপারের দাবি বাচ্চাটি নাকি ৪০০ টাকা চুরি করেছিল। তাই জুতোর মালা পরিয়ে তাকে হস্টেল চত্বরে হাঁটানো হয়। নাবালিকার বাবা বলছেন, তার মেয়েকে ভূতের মতো সাজানো হয়েছিল। গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দিয়েছিল হস্টেল সুপার। ওইভাবে সারা হস্টেলে ঘোরানো হয় তাকে।
ঘটনার পরে মেয়েটি ভয়ঙ্কর ট্রমায় রয়েছে। কারও সঙ্গে নাকি কথাও বলছে না। হস্টেলে থাকতেও চাইছে না। ঘটনার বিবরণ দিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা-মা। পুলিশ জানিয়েছে, হস্টেল সুপারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরও কারা জড়িত ছিল তার খোঁজ চলছে। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।