২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন


ভাসতির দাম্পত্যকলহ মেটাতে গিয়ে খুন হলেন চাচা
এহেসান হাবিব তারা :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১১-২০২২
ভাসতির দাম্পত্যকলহ মেটাতে গিয়ে খুন হলেন চাচা ভাসতির দাম্পত্যকলহ মেটাতে গিয়ে খুন হলেন চাচা


ভাসতির দাম্পত্যকলহ মেটাতে গিয়ে খুন হয়েছেন আসফাক আলম (৪৭) নামের এক চাচা। গত রবিবার ভাসতি সগুপ্তা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হয় তাঁকে।

শনিবার ভোরে হাতপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভাসতির শ্বশুরবাড়ির ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আর ৩ জনের খোঁজ চলছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, বজবজ -পুর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা নাবিলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সগুপ্তার। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন তরুণী। বিষয়টি মিটমাট করতে গত রবিবার রাতে ভাসতির শ্বশুরবাড়ি যান আসফাক আলম। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ওই রাতেই তাকে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এরপর শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

পরে নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নাবিলের পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। আরও ৩ জনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

এদিকে নাবিলের পরিবারের দাবি, সগুপ্তার পরকিয়া প্রেম চলছিলো। তাই তাঁকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিমাংসার নামে তার চাচা আসফাক বাড়িতে এসে তাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালায় । আত্মরক্ষার স্বার্থে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল।

নিহতের স্ত্রী জানিয়েছে, ভাসতির দাম্পত্যকলহ মেটাতে ওর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন স্বামী। ওখানে ওকে খুব মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। তার পরেও মারধর বন্ধ করেনি ওরা। অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছে মৃতের পরিবার।