দিল্লিতে প্রেমিকের হাতে শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ। প্রেমিকের বাড়িতে একটি বাক্সের মধ্যে প্রেমিকার মুণ্ডহীন এবং হাত কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পলিথিনে মোড়া মাথাটিও রাখা ছিল পাশে।
মৃত তরুণীর নাম কবিতা রানি। অভিযুক্তের নাম আবু বকর। গত ৬ নভেম্বর আবু বকরের বাড়ি থেকে কবিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
সূত্রের খবর, খুনের ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন আগেই কবিতার সঙ্গে আলাপ হয় আবু বকরের। কবিতার সঙ্গে আঘাত হওয়ার আগে থেকেই গত ৪ বছর ধরে স্বপ্না নামে অন্য এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আবু বকরের। সপ্নার সঙ্গেই বাংলাদেশের গোবরচক স্কোয়ারের একটি বাড়িতে লিভ-ইন করত অভিযুক্ত।
স্বপ্নার সঙ্গে সম্পর্ক থাকাকালীনই কবিতার সঙ্গে আলাপ হয় আবু বকরের। সঙ্গে সঙ্গেই কবিতার প্রেমে পড়ে যায় সে। সূত্রের খবর, গত ৫ নভেম্বর স্বপ্না বাড়িতে না থাকাকালীন কবিতাকে সেখানে নিয়ে আসে অভিযুক্ত। এরপর কোন কারনে উভয়ের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এরপরই রাগের মাথায় কবিতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আবু বকর।
এরপর প্রেমিকার দেহ টুকরো করে কেটে ফেলে অভিযুক্ত। প্রথমেই কেটে নেয় কবিতার মাথাটি। এরপর হাতগুলিও একে একে কেটে ফেলে সে। কাটা হাটগুলি অভিযুক্ত নর্দমায় ফেলে দেয় বলে জানা গেছে। এরপর কেটে ফেলা মাথাটি সে একটি পলিথিন প্যাকেটে মুড়ে রেখে দেয়। বাকি দেহটি একটি বাক্সে ভরে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় আবু বকর।
অভিযুক্ত একটি পরিবহণ সংস্থায় কাজ করতে বলে জানা গেছে। ৬ তারিখ সে কাজে না আসায় তাকে ফোন করে অফিসের লোকজন। কিন্তু ফোনে পাওয়া যায়নি তাকে। এরপরেই তার খোঁজ করতে তার ভাড়াবাড়িতে একজনকে পাঠানো হয় ওই পরিবহণ সংস্থার তরফে। কিন্তু সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা রয়েছে। সে কথা জানার পর আবু বকরের গতিবিতি নিয়ে সন্দেহ হয় থানায় ফোন করেন বাড়িওয়ালা।
এরপরই পুলিশ আসে, এবং দরজা ভেঙে কবিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে। একটি বাক্স থেকে উদ্ধার হয় মুণ্ডহীন দেহটি। পলিথিনে মোড়া মাথাটিও পাওয়া যায়। তবে হাতগুলি পাওয়া যায়নি। এরপরেই তল্লাশি চালিয়ে ৭ই নভেম্বর অভিযুক্ত আবু বকরকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশ পুলিশ। তার লিভ-ইন সঙ্গী স্বপ্নাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।