একটি গার্লস হাইস্কুলের সামনে চাকু দিয়ে কুপিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীকে খুন করেছে বাপ্পাদিত্য রায় নামের পুলিশ কর্মী স্বামী। অভিযুক্ত স্বামী পেশায় একজন পুলিশকর্মী। রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি গার্লস হাইস্কুলের সামনে। গৃহবধূর নাম বর্ণালী রায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের দীর্ঘদিন আগে বিয়ে হয়েছে। একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দৈনন্দিন কলহ লেগেই থাকত। সেই কারণে তারা আলাদা থাকতেন। বর্ণালী তাঁর মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। আজ মেয়েকে স্কুলে পাঠানোর পর বাইরে অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে বসে ছিলেন। সেই সময় সেখানে চলে আসে বাপ্পাদিত্য। এরপর দুজনের মধ্যে কটা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই মুহূর্তে আচমকা পকেট থেকে চাকু বের করে বর্ণালীকে কোপাতে শুরু করে বাপ্পাদিত্য। ঘটনায় বর্ণালী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে কাছেই রয়েছে এসডিপিও অফিস। সেখান থেকে পুলিশ এসে বাপ্পাদিত্যকে ধরে ফেলে। অন্যদিকে, রক্তাক্ত অবস্থায় বর্ণালীকে নিয়ে যাওয়া হয় কাঁথির দারুয়া হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাপ্পাদিত্য বেঙ্গল পুলিশের হোম গার্ডের চাকরি করেন। তাদের মধ্যে কী নিয়ে বচসা হয়েছিল? তা এখনও সঠিকভাবে জানতে পারিনি পুলিশ। তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় বাপ্পাদিত্যের বিরুদ্ধে খুনের মামলার রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে এরকম ঘটল তা জানতে বাপ্পাদিত্যকে আদালতে তুলে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে চাইবে বলে জানা গিয়েছে।