ঘরের পরিবেশকে সুস্থ রাখার জন্য হামেশাই মাথায় ঘুরতে থাকছে নানা রকম পন্থা। ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিচ্ছেন, ঘরকে পরিষ্কার করছেন রোজ, ঘরে অতিথিরা আসলে তাঁদেরকেও এসব নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন।
করোনার সময় মানুষ যখন ঘরের পরিবেশ নিয়ে একটু বেশি সচেতন হয়ে উঠছেন তখন নতুন এক গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।
মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা অনুযায়ী, বিছানার চাদর ও বালিশের কভারে নাকি সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া জমা হয়! এই গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঘরের অন্যান্য জায়গা থেকেও বেশিমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া মেলে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার থেকেই। যা কিনা বিপাকে ফেলতে পারে।
সাধারণত দেখা যায়, একটাই বিছানার চাদর ও বালিশের কভার আমরা বেশিদিন ধরে ব্যবহার করতে থাকি। খুব প্রয়োজন না হলে তা বদল করি না। এখানেই বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের কথায়, রাতের বেলা যেহেতু অনেকটা সময়ই আমরা বিছানা ব্যবহার করি, সেক্ষেত্রে শরীরে ব্য়াকটেরিয়া খুব সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে। আর সেই কারণেই নিয়মিত বিছানার চাদর ও বালিশের কভার বদলে ফেলা উচিত। সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, এক সপ্তাহ পর বিছানার চাদরে বাথরুমের দরজার হাতলের থেকেও বেশি ব্যাক্টিরিয়া থাকে। এর ফলে ধুলোকণার কারণে অ্যালার্জি হয়। এই অ্যালার্জির লক্ষণ হল, চোখ ও নাক থেকে জল পড়া, হাঁচি আসা, অনেকের তো ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। গবেষকদের কথায়, এই অ্যালার্জির থেকে বাঁচতেই সপ্তাহে এক থেকে দুবার বিছানার চাদর ও বালিশের কভার বদলে নেওয়া উচিত।
এই অ্যালার্জির থেকে বাঁচতেই সপ্তাহে এক থেকে দুবার বিছানার চাদর ও বালিশের কভার বদলে নেওয়া উচিত।
বেশিমাত্রায় ব্যাকটেরিয়া মেলে বিছানার চাদর ও বালিশের কভার থেকেই।
রাজশাহীর সময় /এএইচ