২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:৪৫:৫২ অপরাহ্ন


প্রবীণ সাংবাদিক বিরেন চন্দ্র দাস অসুস্থ"সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক মহল
নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২২
প্রবীণ সাংবাদিক বিরেন চন্দ্র দাস অসুস্থ"সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক মহল প্রবীণ সাংবাদিক বিরেন চন্দ্র দাস অসুস্থ"সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাংবাদিক মহল


জয়পুুরহাট জেলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে বগুড়ায় জেলা থাকা কালিন ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দ সালে স্থাপিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়পুুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি,সাপ্তাহিক বালিঘাটা পত্রিকার প্রকাশক-দৈনিক জয়পুরহাট বার্তা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা,জাতীয় দৈনিক সূর্যোদয় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার আক্কেলপুর উপজেলা প্রতিনিধি জেলার প্রবীণ সাংবাদিক শ্রী বিরেন চন্দ্র দাস প্রায় ৩-৪ বছর যাবৎ কিডনি,ডায়েবেটিস,ব্লাড পেশারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৬৮ বচ্ছর বয়সেও স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করে আসছেন তার এতো সমস্যার পরেও তিনি কখনওই মনবল হারাননি ।

তিনি সাংবাদিকতা পেশাটিকে হৃদয় থেকে প্রাধান্য দিয়ে সত্যনিষ্ঠার সহিত প্রায় ৪২-৪৩ বছর ধরে একজন প্রতিবাদী কলম সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশসহ তৎকালীন সময়ে কলিকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি পাশাপাশি তিনি নিজেই আঞ্চলিক পত্রিকার সম্পাদকসহ পরিচালনা করছিলেন। ৮০ দশক তথা সেই সময়ে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে ডিগ্রী অর্জন করার পরেও সরকারি-বে-সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেননি।

তিনি পড়াশোনা শেষ করে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের আইনি সংবিধান লেখক ডঃ-কামাল ও পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সাথে থেকে দেশের জন্য কিছু করার চেষ্টায় তৎকালিক ন্যাপ সংগঠনটি পরিচালনা করছিলেন। শুধুু তাই না মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার পরেও সার্টিফিকেট নিতে তাহার কাছে ঘুষ চাওয়ায় তিনি আর সার্টিফিকেট নেননি কিন্তু তিনি যে ভারতে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছিলেন তার সনদপত্র এখনো তাহার নিকট গচ্ছিত হয়েছে। এতো কিছুর পরেও তিনি সততার সহিত এতো বছর ধরে কোন প্রকার লোভ লালসা না করে শুধুু মাত্র সাংবাদিকতা তথা মহৎপেশাটি সঠিক ভাবে পালন করে আসছেন।

এমনি তিনি কখনওই কোন প্রকার অন্যায় কাজের সাথে লিপ্ত কখনওই ছিলেননা এবং অন্যায় বা সমাজের গড়ে অপশক্তির কাছে কখনওই তিনি মাথা নিচু করেননি বরং তিনি অর্থ দিয়ে না পাড়লেও তার সততা দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন। তিনি নিজে ত্যাগ স্বীকার করে অনেককেই প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে বানিয়েছেন বড় বড় বিশিষ্ট সাংবাদিক।এমন প্রতিভার পাশাপাশি তার আরও একটি গুণ হচ্ছে তিনি ছাত্র জীবন থেকে এক কাপ ব্যাধিত কোন প্রকার নেশার সাথেও যুক্ত নন তিনি একেবারে নির্ভেজাল সাদাসিধে জীবন যাপন করেন।

সৎ প্রতিভাবান জ্ঞানী ব্যক্তি হওয়ার ফলে শুধুু রাজশাহী বিভাগ বা জয়পুুরহাট জেলা নয় দেশের রাজধানী, মহানগর,জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও প্রবীণ সাংবাদিক,সাংস্কৃতিক মহলেও তার রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। তার এই দীর্ঘ বছরের পেশায় ব্যাপক নামযশ,পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করে সৎভাবে জীবনযাপন করাই তিনি কখনওই অবৈধভাব অর্থ-সম্পদের পিছনে না ছুটে একেবারে নির্ভেজাল জীবনযাপন করে আসছেন।

তার সততা ও সনাতন ধর্মের মানুষের এতো প্রাধান্য কেন-? তা দাবিয়ে রাখতে স্থানীয় অসাধু কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাহার কাছে হার মানলেও তার পরিবারকে ধংশ করতে তার চারটি পুত্র সন্তানদের নামে বারবার মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হামলায় জড়িত করে তাকে হতাশাগত বানিয়েছেন। তবুও তিনি তার চার সন্তানের মধ্যে তিন নম্বর সন্তান কে কোন চাকরীজীবি না বানিয়ে তার পেশাটি কে ধরে রাখতে নিজ হাতে সাংবাদিকতা শিখিয়েছেন সেই সন্তান এখন কেন্দ্রীয় সাংবাদিক নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। এই সনাতন ধর্মের এই সাংবাদিক পরিবারকে সর্বশান্ত করতে আজও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে কিছু মহল।

এতো প্রতিকূলতার মধ্য থেকেও তিনি অর্থ ছাড়াই সকল প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করতে গিয়ে গত রোববার (১৯ শে জুন) সন্ধায় তার নিজ বাড়িতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দ্রুত তাকে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল এন্ড কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল এন্ড কলেজ হাসপাতালের সি সি ইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন জয়পুুরহাট জেলার উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিক,সদস্য,সুশীল সমাজসহ স্থানীয় সাধারণ জনগণেরা।