২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:১৫:৪৫ অপরাহ্ন


জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসে ছাত্রলীগ নেতারা
আব্দুল বাশির (চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৬-২০২২
জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসে ছাত্রলীগ নেতারা জনতার ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসে ছাত্রলীগ নেতারা


চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ছাত্রলীগের ৮/১০ জন নেতা-কর্মী গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পার্বতীপুর ইউনিয়নের মাধাইপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পাওনা টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে পক্ষ-বিপক্ষ হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে , উপজেলার বাংগাবাড়ি ইউনিয়নের ব্রজনাথপুর গ্ৰামের শরিফুল ও ফরহাদ যৌথভাবে আম ব্যবসা করে। এক পর্যায়ে ফরহাদ শরিফুলের নিকট কিছু টাকা পাওনা রয়ে যায়।ওই টাকা বেশ কয়েকবার চাওয়ার পরেও শরিফুল ফেরত না দেওয়ায় ফরহাদ বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতাদের জানায় । ফলে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী ও রহনপুর ইউসুফ আলী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দুরুল হোদা,জোহরুল, শাকিল,মোস্তাকিন সহ বেশ কয়েকজন মাধাইপুর মোড়ে শরিফুলের ভাই শারিকুল ইসলাম সাদ্দামের আমের আড়তে আসে।উভয় পক্ষের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার জামান আনসারী সাদ্দামকে চড়-থাপ্পর মারে এবং তাকে উঠিয়ে নেয়ার জন্য টানা হেঁচড়ে করে। সাদ্দামের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর শুরু করে। মারধরের বিষয়টি এক পর্যায়ে গনপিটুনিতে রুপ নিলে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার সহ কয়েকজন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আসে। তবে কলেজ সভাপতি দুরুল হোদা সহ আরো একজনকে জনতা আটক করে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

বিষয়টি সম্পর্কে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার জামান আনসারীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফরহাদ শরিফুলের কাছে টাকা পাওয়ার বিষয়টি সমাধান করার জন্য আমি কয়েকজনকে সাথে করে মাধাইপুর মোড়ে গিয়েছিলাম। সেখানে বাংগাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল  চেয়ারম্যান ও আম আড়ৎদার শারিকুল ইসলাম সাদ্দাম উপস্থিত ছিল। কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দামের সাথে জোরাজুরি হলে উৎসুক জনতা আমাদের উপর চড়াও হয়ে মারমুখী হয়। ফলে আমরা সেখান থেকে চলে আসি।

গোমস্তাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বলেন, মাধাইপুর মোড়ে একটি ঘটনা ঘটেছে বলে আমি জেনেছি। ছাত্রলীগের ঘটনা  হলেও বিষয়টি রাজনৈতিক না। পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য এক পক্ষ হয়ে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী ওখানে গিয়ে ঝামেলা করার চেষ্টা করেছিল। পরে জনগণের ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে আসে।এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগও জমা দেয়া হয়েছে।ওসি বাইরে থাকায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযোগটি গ্ৰহন হয়নি।