ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে কক্সবাজারে উত্তাল সাগর। বেড়েছে বাতাসের গতিবেগও। উপকূলীয় এলাকায় হচ্ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
সমুদ্রে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি রাখা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারগুলো। যদিও বাংলাদেশ অনেকটাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজারের সি-সেইফ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন ভুট্টো বলেন, কক্সবাজারের সমুদ্রসৈকতে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে লাইফগার্ড কর্মীও। পর্যটকদের সাগরে নামতে নিরুৎসাহিত করছেন তারা।
জানা গেছে, অনেক পর্যটক এরই মধ্যে কক্সবাজার ছাড়তে শুরু করেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সচিব) মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানরত ৭৩টি মাদার ভেসেলের মধ্যে ২৮টি থেকে পণ্য খালাস এখনো চলছে। পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কর্ণফুলি নদীর মোহনা হয়ে বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত সব লাইটার জাহাজকে সদরঘাট ও শাহ আমানত ব্রিজ এলাকায় চলে যেতে বলা হয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার জন্য মোংলা বন্দরে পণ্য বোঝাই ও খালাস কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্দর জেটিতে নোঙর করা শুরু হয়েছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো। বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর ও নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা এরই মধ্যে তীরে ফিরে এসেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে উপকূলীয় এলাকায়। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। বেশির ভাগ শহরের রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। উপকূলবর্তী নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অশনি অগ্রসর হচ্ছে উত্তর-পশ্চিম দিকে। সন্ধ্যার পর গতিপথ পরিবর্তন করে দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে বাংলাদেশ অনেকটাই শঙ্কামুক্ত।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি বৃষ্টি হতে পারে রাজধানীতেও।