সড়কে চলতে চলতে হুট করে আকাশে উড়ে যাওয়ার স্বপ্ন সত্যি হওয়া আর দূরে নয়। এটি প্রায় বাস্তবে রূপ নিয়েছে। স্লোভাকিয়ার হাইব্রিড গাড়িনির্মাতা ক্লেইন ভিশনের গাড়িকে আকাশে ওড়ার অনুমতি দিয়েছে দেশটির পরিবহন সংস্থা। ‘এয়ারকার’ নামে এ বাহনটি রাস্তায় চলার পাশাপাশি আকাশে উড়তে পারে। সুইচ টিপ দিলে তিন মিনিটেরও কম সময়ে এটি রাস্তায় চলা গাড়ি থেকে পরিণত হয় আকাশে ওড়ার অবিশ্বাস্য বাহনে।
সম্প্রতি হাইব্রিড গাড়িটিকে এয়ারওর্দিনেস সনদ দিয়েছে স্লোভাক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এর জন্য তাকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৭০ ঘণ্টা উড়তে হয়েছে, টেকঅফ-ল্যান্ডিং করতে হয়েছে ২০০ বারেরও বেশি।
আকাশে ওড়ার জন্য মাত্র ৩০০ মিটার রানওয়ে দরকার এয়ারকারের। ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে গাড়িটি। যেতে পারে এক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত।
ক্লেইন ভিশনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাদের হাইব্রিড গাড়ি ওড়ানোর জন্য পাইলটের লাইসেন্স থাকতে হবে। আগামী এক বছরের মধ্যেই এয়ারকার বাণিজ্যিকভাবে বাজারে ছাড়া যাবে বলে আশাবাদী নির্মাতারা। অবশ্য বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরুর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভিয়েশন সেফটি এজেন্সির (ইএএসএ) অনুমোদন পেতে হবে একে।
এয়ারকারে ১.৬এল বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেকোনো গ্যাস স্টেশনে বিক্রি হওয়া জ্বালানিতেই এটি চালানো যায়। উঠতে পারে সর্বোচ্চ ১৮ হাজার ফুট পর্যন্ত।
অবশ্য উড়ন্ত গাড়ির প্রদর্শনী বিশ্বে এটিই প্রথম নয়। ২০১৮ সালে ড্রোনের মতো দেখতে একটি ফ্লায়িং-ট্যাক্সির প্রোটোটাইপ সামনে এনেছিল উবার। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক কোম্পানি পিএএল-ভি প্রায় একই ধরনের একটি উড়ন্ত গাড়ি তৈরি করেছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সম্মতির ধাপ পার হতে পারেনি তারা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রেও টেরাফিউজিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠানের উড়ন্ত গাড়ি এয়ারওর্দিনেস সনদ পেয়েছে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, সিএনএন
রাজশাহীর সময় / এফ কে