২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:২৮:৩৭ অপরাহ্ন


প্রতারক জাকিরের শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগী শিল্পী
রাজীব আলী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২৪
প্রতারক জাকিরের শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগী শিল্পী প্রতারক জাকিরের শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগী শিল্পী


রাজশাহীতে জাকির হোসেন বিটন (৪৬) নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মোসা সাইকা খাতুন শিল্পী (৩৮) নামে এক নারী।

তিনি নগরীর বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়া এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলামের মেয়ে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজশাহীর শিরোইল কাঁচাবাজার এলাকায় অবস্থিত বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতারক জাকিরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে ভুক্তভুগী শিল্পী বলেন, জাকিরের সাথে দীর্ঘদিন সম্পর্ক থাকার পর আমার কাছ থেকে সে বিভিন্ন সময়ে কৌশলে মোটা অংকের টাকা হিাতিয়ে নেয়। এছাড়াও গত (২২ নভেম্বর ২০২১) নগরীর রাজপাড়া থানার কয়েরডারা এলাকার এক অজ্ঞাত বাসাতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে একজন অপরিচিত দাঁড়িওয়ালা লোককে দেখিয়ে বলে এই ব্যক্তিটি কাজী, সে আমাদের বিবাহ পড়াবে। দাঁড়িওয়ালা লোকটি একটি সবুজ রঙের কাগজে আমার এবং জাকিরের স্বাক্ষর নেয় এবং কালামা পড়িয়ে বলে তোমাদের মধ্যে শরীয়া মতে বিবাহ সম্পন্ন হলো।

শিল্পি আরও বলেন, জাকির মালেশিয়ায় পিএইচডি করতে গিয়ে অসুস্থতার কথা বলে আমার থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে টাকা নিয়েছে। যার ডকুমেন্ট আমার কাছে আছে। সে আইসিটি আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করেছে। আমি এসব বিষয়ে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বোয়ালিয়া আমলী আদালত, রাজশাহীতে মামলা করলে ( মামলা নং ৮১৭ সি/ ২০২৩ বোয়ালিয়া) মামলার তদন্তভার বিজ্ঞ আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়া হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তারেক (পিবিআই) আমাকে ফোন করে মামলার প্রমাণাদি দেখাতে বলেন। আমি তার কথামত মামলার সকল প্রমাণাদি নিয়ে দেখা করি। সে আমাকে কোন প্রকার মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ না করে বিজ্ঞ আদালতে আমার বিপক্ষে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

আমি পিবিআই এর দেওয়া মিথ্যা তদন্তের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করেছি। বিজ্ঞ আদালত আমার দাখিল করা নারাজিটি গ্রহণ করে এবং রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়। গোয়েন্দা বিভাগ থেকে এসআই রহমানকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমি এসআই রহমানকে একাধিকবার ফোন করলেও আমার ফোন রিসিভ করেনি তিনি। পূর্বের ন্যায় আমার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার না শুনেই আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন এসআই রহমান।

এ ব্যপারে জানতে মামলার বিবাদি জাকির হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দেয়া হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি। ফলে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা শাখার এসআই রহমান বলেন, বাদী শিল্পী খাতুন ৪৯৩ ধারায় আদালতে মামলাটি করেছেন যার কোনো সঠিক তথ্য প্রমাণাদি আমাকে দেখাতে পারেন নি। আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলেও জানান তিনি।