রাজশাহী মহানগরীতে যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন ওরফে আলমগীরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
রবিবার দুপুর ১টায় মহানগরী আদালত চত্বর থেকে তাকে আটক করে জনতা। এ সময় খবর পেয়ে আদালতের গেটের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজপাড়া থানার এসআই পলাশ ও সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেফতার আলমগীর (৫০), সে মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার মোন্নাফের মোড় এলাকার মৃত আলী ড্রাইভারের ছেলে। সে রাসিক ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
এসআই পলাশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র/জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজশাহী মহানগরীজুড়ে আ’লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সোডাউন দেয়। ওই সময় তারা আগ্নেয় অস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে বিভিন্ন স্থানে ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটায় এবং ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। এদিন যুবলীগ সভাপতি আলমগীর ও তার সহযোগীরা রাজশাহী থেকে প্রকাশিত বাংলার বিবেক পত্রিকা অফিসের বাইরের থাকা সিসি ক্যামেরা, অফিসের ভেতরে ঢুকে কম্পিউটার, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও ৫আগস্ট মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায় ছাত্র জনতার উপর হামলা চালিয়ে এক শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরএমপি মতিহার থানা ও বোয়ালিয়া মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা রয়েছে। মতিহার থানার মামলা নং-০৩,তাং-২৬/০৮/২০২৪ এবং বোয়ালিয়া মডেল থানার মামলা নং-৯, তাং-০৩/০৯/২০২৪।
উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা আলমগীর, বাসচালক লিপন হত্যা মামলার একমাত্র আসামী ছিলেন। সেই মামলায় তাকে ফাঁসির রায় দেন রাজশাহীর বিজ্ঞ আদালত। পরে উচ্চ আদালত খুনি আলমগীরের ফাঁসি মওফুক করেন। কিন্ত সাজা খেটে কারা মুক্ত হয় সে। কারাগার থেকে বেরিয়ে কিছুদিন পরই রাসিক ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের পদ পেয়ে যায় সে। শুরু হয় চাঁদাবাজি-সহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কমকান্ড।