রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন কোনো সাংবিধানিক সংকট নয়, দেশে এখন একটি নির্বাচন প্রয়োজন— এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ছাত্রলীগকে কেবল নিষিদ্ধ করলে চলবে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবেও বলেও মন্তব্য করেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের স্যালুট করি। কিন্তু দেশে কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি করা যাবে না। সেটি চিন্তা করে আমরা সবাই কাজ করবো। পতিত সরকারের দোসররা এখনও বহাল রয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন অস্ত্র আছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেয়া আলটিমেটামের মাঝে গতকাল বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদটা সাংবিধানিক পদ। এ পদে হঠাৎ করে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে যদি গণতন্ত্র উত্তরণের পথ বিলম্বিত বা বাঁধাগ্রস্ত হয় তা জাতির জন্য কাম্য নয়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন বিএনপির এ নেতা।
এদিকে, গতকাল রাতে শহীদ মিনারে ডাকা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতিকে অপসারণে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বিএনপির এখনও নির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য আসেনি। বিক্ষিপ্ত মন্তব্য না করে নির্দিষ্টভাবে বলতে আহ্বান জানান তিনি। পরদিনই বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক এই ইস্যুতে দলটির স্পষ্ট বার্তা জানালেন।