সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র, গরীব অসহায় পরিবারকে ৩০ কেজি করে সাশ্রয়ী মূল্যে চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এর প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) বিকালে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ইউনিয়নের ধাপতেতুলিয়া গ্রামের ভুক্তোভোগী ১৫টি পরিবার।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্র, গরীব অসহায় পরিবারকে ৩০ কেজি করে সাশ্রয়ী মূল্যে চালের কার্ড করে দেওয়ার নামে ধাপতেতুলিয়া গ্রামের ১৫টি পরিবারের কাছে থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছেন সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলাম। পরে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণের সময় গেলে তিনি জানান এবার তোমাদের নাম আসেনি। এরপর তোমাদের নাম আসলে তোমরা চাল কিনতে পারবে। এভাবে মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকেন শহিদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কার্ড না পাওয়া তার কাছে গেলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ভাবে ওই ১৫টি পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।
ভুক্তভোগী জাহিদুল, মোখলেছ, জাহাঙ্গীর বলেন, দেড় বছর ধরে কার্ড না হওয়ায় টাকা ফিরত চাওয়ায় আমাদের নামে দেওয়া হয়েছে চাঁদাবাজী মামলা।
অপর দিকে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. চাঁদ আলী বলেন, এ ওয়ার্ডে সরকারী সকল বরাদ্দ চেয়ারম্যান তার শ্বশুর শহিদুলের মাধ্যমে বিতরণ করে থাকেন।
এ বিষয়ে সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টুর শ্বশুর মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি কিছু লোকজনের টাকা নিয়েছিলাম। কার্ড না হওয়ায় আমি সে টাকা ফিরত দিয়েছি।
তবে বিষয়টি জানার পরে শ্বশুরকে টাকা ফিরত দিতে বলেছেন বলে জানান, সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্ট। তিনি আরো বলেন, যাদের নামে কার্ড হয়নি তাদের আগামীতে কার্ড করে দিবো।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।