অপরিচিত নম্বর থেকে এক তরুণীর ফোন আসে এক যুবকের কাছে এবং কথা বলার সময় ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ছেলেটি আবার কল পায় এবং তারপর তারা কথা বলে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে কথা বাড়তে থাকে এবং তারা দুজনেই প্রেমে পড়ে যায়।
এরপর ছেলেটি ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে যায়। তারা দুজনেই একটি ঘরে একে অপরের সঙ্গে দেখা করে।
অন্য দিকে, গ্রামবাসীরা সেই বিষয়ে জেনে যায়। এরপর দুজনকেই ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অনুনয়-বিনয় শুরু করে, কিন্তু গ্রামবাসীদের দেওয়া শর্তে তারা হতবাক হয়ে যায়।
আসলে, জামুই জেলার বারহাট ব্লক এলাকার জাভাতরি গ্রামের বাসিন্দা আরতি কুমারীর সঙ্গে পটনা জেলার পান্ডারকের বাসিন্দা রামসেবকের প্রেম চলছিল। রামসেবক জানান, প্রায় ৪ বছর আগে তিনি একটি অচেনা মেয়ের ফোন পান। ভুল নম্বর থাকা সত্ত্বেও, তাঁরা কথা বলতে শুরু করেন এবং একে অপরের প্রেমে পড়ে যান।
এরপর আরতি ও রামসেবকের মধ্যে প্রেম এতটাই গভীর হয় যে,, দু'জনেই চার বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে থাকেন। রামসেবক জানিয়েছেন , তিনি অনেকবার আরতির বাড়িতে এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁরা দুজনেই জামুই রেলস্টেশনে দেখা করতেন। তিনি আরও বলেন, আরতির মা তাঁদের প্রেমের সম্পর্কে সব কিছুই জানতেন।
রামসেবক পটনার একটি একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থায় কাজ করেন এবং যেহেতু বড়দিনের ছুটি ছিল, তাই তিনি তাঁর বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর গ্রামে গিয়েছিলেন। এই সময় তাঁরা উভয়ে একটি ঘরে সাক্ষাৎ করেছিলেন। ইতিমধ্যে গ্রামবাসীরা এই খবর পেলে সেখানে প্রচুর ভিড় জমে যায়। লোকজন ওই ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে উভয়কে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এরপর তাঁরা দুজনেই একে অপরকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য লোকেদের কাছে অনুনয় করতে শুরু করেন। কিন্তু, লোকেরা রাজি হচ্ছিল না, তারা প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে শর্ত দেয় যে, একে অপরকে বিয়ে করলে তবেই ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হবে।
শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের কাছে প্রেমিক-প্রেমিকাকে হার মানতে হয় এবং গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলেই তাঁদের বিয়ে দেন। এই পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। তবে বিয়ের পর আরতির পরিবার খুবই খুশি এবং আরতির বাবা-মা, নতুন স্বামী-স্ত্রীকে ভাল জীবনযাপনের জন্য আশীর্বাদ করেছেন।