গ্রাম সম্পর্কে শহরে মানুষদের সবার প্রথমে মনে আসে অনুন্নত এলাকা, আধুনিক পরিষেবার অভাব ইত্যাদি। তবে এই প্রতিবেদনে এমনি একটি গ্রামের কথা বলা হয়েছে, যা খুবই উন্নত। এখানকার মানুষ বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত। অর্থের দিক দিয়েও কেউ পিছিয়ে নেই। এখানে গরিব মানুষের দেখা পাবেন না। কিন্তু যার অভাব রয়েছে সেটি হলো পোশাকের।
আসলে, এই বিশেষ গ্রামটিতে কেউই পোশাক পরে না। এমনকি অনেকেই রয়েছেন যারা জন্মের পর থেকে বৃদ্ধ হয়ে মারা গেছেন তবুও দেহে সুতো টুকুও গায়ে লাগিয়ে দেখেননি কেমন লাগে। গ্রামের সকল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন বয়সের মানুষই উন্মুক্ত শরীরেই ঘুরে বেড়ান। হয়তো অনেকের মনে হতে পারে এটা কোন বহু প্রাচীন নিয়ম। তাও কিন্তু নয়।
আসলে পোশাক ছাড়াই গ্রামে বসবাসের রীতি শুরু হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে, ১৯২৯ সালে। চার্লস ম্যাকাসকি নামে এক ব্যক্তি ব্রিটেনের এই ১২ একর জমি কেনেন। তারপর সেখানে একটি গ্রাম তৈরি করেন। ব্রিটেনের হার্টফোর্ডশায়ারের এই নগ্ন গ্রামের নাম স্পিলপ্লাজ। গ্রামটি তৈরি হওয়ার পর এখানে প্রভূত উন্নতি হয়। উন্নত জীবনযাপন শুরু করেন সকলে।
তবে গ্রামের জন্মদাতার দাবি ছিল প্রকৃতি মানুষকে যেভাবে তৈরি করেছে সেভাবেই এই গ্রামে থাকতে হবে।অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে সম্পূর্ণ অনাবৃত দেহে থাকতে হবে এই গ্রামে। তা মেনেও নেন সকলে। আর তারপর থেকে কার্যত পরম্পরা মেনে আজও এই গ্রামের বাসিন্দারা অনাবৃত অবস্থায় ঘুরে বেড়ান।
এছাড়া বাইরে থেকে আসা কোন মানুষদেরও এই গ্রামের রীতি মেনে চলতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাইরে থেকে আসা আত্মীয় হোক বা ডাকবিভাগের কর্মী সকলকে এই গ্রামে প্রবেশের সাথে সাথে পোশাক খুলে ফেলতে হয়। তবে এখানকার মানুষ যখন বাইরে ঘুরতে বা কাজে যান তখন তারা সাধারণ পোশাকেই যান। যখন তারা ফিরে আসেন আবার তারা গ্রামে রীতি পালন করা শুরু করেন। অথচ সে গ্রামে বাইরে থেকেও বিভিন্ন কারণে মানুষ আসেন। কিন্তু পোশাক না থাকায় গ্রামের মানুষ এতটুকুও লজ্জা পান না।