বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে মাথা ব্যথা অনুভব করা বেশ স্বাভাবিক একটি বিষয়। সমস্যা শুরু হয় যখন এটি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়ায়, আপনার নিয়মিত সব কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। নিয়মিত মাথা ব্যথা হতে থাকলে তাকে ক্রনিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আক্রান্তরা হালকা থেকে মারাত্মক ব্যথার সম্মুখীন হতে পারেন যা কখনও পুরোপুরি দূর হয় না।
বেশিরভাগ মানুষ যেমনটা ধরে নেন মাথা ব্যথা তার চেয়ে বেশ জটিল। বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা রয়েছে এবং সেসব ব্যথার আলাদা আলাদা লক্ষণ রয়েছে। একেক ধরনের মাথা ব্যথার জন্য একেক রকম চিকিত্সার প্রয়োজন হয়। সঠিক চিকিত্সা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের মাথা ব্যাথা সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন প্রধান তিন ধরনের মাথা ব্যথার সম্পর্কে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার উপায়-
দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা: দীর্ঘস্থায়ী মাথা ব্যথা হলো সবচেয়ে সাধারণ ধরনের মাথা ব্যথা। এটি কপালের পেশীগুলোর সংকোচনজনিত কারণে ঘটে যা মাথার দুই পাশে ব্যথার কারণ হতে পারে। এ ধরনের মাথা ব্যথা হালকা থেকে মাঝারি হয়ে থাকে। এই ব্যথা মাইগ্রেনের মতো গুরুতর নয় তাই দৈনন্দিন কাজে খুব একটা বাধা দিতে পারে না। উচ্চ শব্দ, ধোঁয়া এবং গ্যাজেটের উজ্জ্বল নীল আলো- এসব হতে পারে এই মাথা ব্যথার কারণ। এমনকি ডিহাইড্রেশনের কারণেও এটি হতে পারে। দিনে পর্যাপ্ত জল পান করুন। এ ধরনের মাথা ব্যথা এড়ানোর জন্য কাজের মাঝে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিন।
দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন: মাইগ্রেন সাধারণত মাথার একপাশে অনুভূত হয়। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিনগত ব্যাধি যা মস্তিষ্কে প্রদাহসহ নানা কারণে হতে পারে। এই ধরণের মাথা ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত ছুরিকাঘাতের মতো ব্যথা অনুভব করেন যা কয়েকদিন ধরে দীর্ঘায়িত হতে পারে। মাইগ্রেন শব্দ এবং গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতাও বাড়িয়ে তোলে। এটি সাধারণত একটি এপিসোডিক ডিসঅর্ডার। মাইগ্রেন আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাসের কারণেও দেখা দিতে পারে। মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক খাবার খেতে হবে, মানসিক চাপ বা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে ধূমপান ও অ্যালকোহল।
ক্যাফেইন মাথা ব্যথা: নাম অনুসারে, ক্যাফেইন মাথা ব্যাথা অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে শুরু হয়। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইনের উপাদানগুলো আমাদের মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে। অত্যধিক ক্যাফেইন গ্রহণ করলে তা মাথা ব্যথা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হঠাত্ ক্যাফেইন গ্রহণ ছেড়ে দিলেও একইরকম প্রভাব পড়তে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে ক্যাফেইনের কারণে মাইগ্রেন আরও বেড়ে যায়। এ ধরনের মাথা ব্যথা এড়াতে খুব বেশি কফি খাওয়া চলবে না। এছাড়া যেসব খাবারে ক্যাফেইন রয়েছে তাও পরিমিত খেতে হবে। প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই কাপ কফি খেতে পারেন।
রাজশাহীর সময়/এইচ