শীতের নরম রোদে পিঠ দিয়ে বসে কমলালেবু খাওয়ার মজাই আলাদা। ঠান্ডার সময়কার মিঠে রোদকেই বলা হয় কমলালেবু রঙা রোদ্দুর।
কমলালেবুর কোয়া সাধারণত আমরা কেটে খাই না। গোটা কোয়া মুখে দিয়ে খেয়ে ফেলি। জিভে এর বীজ এসে পড়লে থু থু করে ফেলে দিই। এখানেই ভুল করে বসি। কারণ কমলালেবুর বীজেরও প্রচুর উপকারিতা। বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।
কমলালেবুর বীজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। তার ফলে আমাদের শরীর হাইড্রেটেড ও তাজা থাকে। সার্বিক সুস্থতা বজায় থাকে।
কমলালেবুর যে মিষ্টি গন্ধ, সেটা থাকে এর বীজেই। তাই বীজ থেকে নেওয়া এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন কেকের মিক্সিংয়ে।
এই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন স্নানের জলে। কাজে লাগাতে পারেন ঘরবাড়ি থেকে দুর্গন্ধ দূর করতেও।
কমলালেবুর বীজে আছে পালমাইটিক, ওলেইক এবং লিনোলেনিক অ্যাসিড। এই যৌগগুলি শরীরের কোষে কর্মশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কমলালেবুর বীজ থেকে নিষ্কাশিত তেলে কন্ডিশনিং বৈশিষ্ট্য থাকে। ভিটামিন সি, বায়ো ফ্ল্যাভোনয়েড স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালনা বজায় রাখে।
কমলালেবুর বীজে ফোলিক অ্যাসিড নতুন চুল জন্মানোর হার বজায় রাখে। চুলের গোড়া মজবুত করে।