অ্যাকশন হিরো। হলিউডের অন্যতম বেশি বেতন পাওয়া নায়ক। জনপ্রিয়তা সবসময়েই তুঙ্গে। তাঁর ঠাটবাটই আলাদা। মেজাজ-মর্জিও। কখন কী করে বসবেন, তা আগে থেকে আঁচ করা শক্ত। বলিউডের ভাইজানের মতো যখন তখন মুড সুয়িং হয় তাঁর। রেগে গেলে সহ অভিনেতাদের সঙ্গে মারপিটও শুরু করে দেন। ভারতীয় দর্শকদের কাছে তিনি ‘রক’ নামই বেশি পরিচিত। এহেন ডোয়েন জনসন নাকি ওয়ার্কআউটের সময় বোতলে প্রস্রাব করেন।
নিজের জলের বোতলে প্রস্রাব করেন? ডোয়েন জনসনের এমন আজব অভ্যাস নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় সকলকে। ওয়ার্কআউটের সময় হোক বা শ্যুটিংয়ের সময়, প্রস্রাব পেলে নাকি টয়লেটে যেতেই চান না ডোয়েন। জলের বোতলেই প্রস্রাব করে দেন। আর সেই বোতল হাতে ধরে ফেলতে হয় ডোয়েনের সহকারী বা শ্যুটিং ফ্লোরের কর্মীদের। ডোয়েনের এই স্বভাবে সকলেই নাকি বেশ বিরক্ত।
সম্প্রতি ‘রেড ওয়ান’ ছবির শ্যুটিং করছিলেন ডোয়েন জনসন। ছবি নির্মাতারই বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন মিডিয়াকে বলেছেন, ডোয়েনের সঙ্গে কাজ করা মানেই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া। কারণ শ্যুটিং ফ্লোরে ইচ্ছা করেই দেরি করে আসেন ডোয়েন জনসন। কখনও কখনও শ্যুটিং সেট সাজিয়ে ঘণ্টা তিনেক অপেক্ষা করতে হয়। তাতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। ২৫০ কোটি ডলারের ছবিতে শুধুমাত্র ডোয়েনের দেরি করে আসার জন্যই কম করেও ৫০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছবি নির্মাতারা।
শ্যুটিং ফ্লোরেও ডোয়েনের মেজাজ বোঝা বেশ কষ্টকর ব্যাপার। একবার তো শ্যুটিং চলার সময় সহ অভিনেতা ভিন ডিজেল (ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস) ও রায়ান রেনল্ডসের (রেড নোটিস)সঙ্গে রীতিমতো হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন ডোয়েন। ঘুঁষি মেরে নাকি রায়ানকে রীতিমতো কুপোকাৎ করেছিলেন ডোয়েন। ২০২১ সালে রেড নোটিস রিলিজ হওয়ার পর থেকেই ডোয়েন ও রায়ান দুই অভিনেতার মুখ দেখাদেখি বন্ধ।
তবে ডোয়েনের যে অভ্যাসটা সবচেয়ে বিরক্তিকর তা হল বোতলে হিসি করে দেওয়া। তাঁর সহকারীরাই বলেছেন, ওয়ার্কআউটের সময় পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করেন না ডোয়েন। সঙ্গে যে জলের বোতল থাকে সেখানেই প্রস্রাব করে দেন। এমনকী শ্যুটিং চলার সময়ও নাকি সময় নষ্ট হবে বলে বোতলেই প্রস্রাব করেন। সেগুলো তাঁর সহকারীদেরই হাতে করে নিয়ে গিয়ে ফেলে আসতে হয়।