বৈশাখের দাবদাহে অত্যিষ্ট জনজিবন। রোদে বের হলেই গা যেন পুড়ে যাচ্ছে। এই সময় দুপুরের গরমে লাল টুসটুসে তরমুজে কামড় দেওয়ার মজাই আলাদা। দাঁতে চিপলেই তরমুজের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসা রসে, শরীর তো বটেই মনও তৃপ্ত হয়। এই তৃপ্তি পাওয়ার নেশায় অনেকেই একটু মাত্রাতিরিক্ত তরমুজ খাওয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তবে বেশি তরমুজ খেলে তার ‘সাই এফেক্ট’ ও কিন্তু ভয়ঙ্কর! তরমুজ বেশি খেলে তার কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, দেখে নিন।
তরমুজের গুণ- তরমুজের সমালোচনার আগে, তার গুণের দিকটিকেও নজরে রাখা দরকার। তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান। ভিটামিন বি সিক্স, সি, এ সহ পটাশিয়ামের খনি এটি। রোগ প্রতিরোধ ও ওজন কমাতে তরমুজ খুবই কার্যকরী। তবে এর খারাপ দিকগুলিও নজরে পড়ার মতো।
পেট ফাঁপা- দুপুরের ভাত খেয়ে উঠে, এক থালা তরমুজ নিয়ে খেতে বসলেন, আর বিকেল থেকেই দেখেন, পেটে কেমন ব্যথা ব্যথা করছে? এমনটা হলে সন্দেহ তরমুজের দিকে রাখতে পারেন! কারণ তরমুজে রয়েছে ফাইবার। ফলে তরমুজ বেশি খেলে ডাইরিয়া সহ নানান রোগ শরীরে দেখা দিতে পারে। এছাড়াও তরমুজে থাকা কিছু উপদান গ্যাস ও বদহজমের সমস্যা তৈরি করে।
ডায়াবেটিস- তরমুজে শর্করার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। ফলে মাত্রাতিরিক্ত তরমুজ খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। তরমুজে থাকা অক প্রকারের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
ওভার হাইড্রেশন- তরমুজে জলীয় পরিমাণ যেহেতু বেশি, তাই তরমুজ বেশি খেলে শরীরে জলের পরিমাণ বাড়ে। জল বেশি হয়ে গেলে তা ‘ওভার হাইড্রেশন’ এর সমস্যা তৈরি করে। ফলে তা কিডনির জন্য সুখবর নয়। যাঁদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা তরমুজ খেতে খানিকটা সাবধান হলে ভালো! পরামর্শ নিতে পারেন চিকিৎসকেরও।
তরমুজ কতখানি খাওয়া উচিত- বিশেষজ্ঞেদের মতো ৫০০গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ হজম করা সম্ভব। প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৬ গ্রাম ক্যালোরি থাকে বলে দাবি পুষ্টিবিদদের। ফলে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ শরীরের পক্ষে যথেষ্ট।
(এই প্রতিবেদন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজনে নিতে পারেন)