যুদ্ধের প্রায় ২০ দিন হতে চলল, আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে র সমাধান সূত্র খোঁজার কাজ চলছে। এদিকে, দিন পেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই ইউক্রেনের উপরে হামলাও বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া।
সোমবার (১৪ মার্চ) ফের একবার দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামাতে আলোচনায় বসতে চলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
এই নিয়ে চতুর্থ দফা বৈঠকে বসতে চলেছে দুই দেশ। রবিবার দুই দেশের তরফেই বৈঠকেরর উদ্যোগের প্রশংসা করে জানিয়েছেন যে, পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শুধরেছে।
গত সপ্তাহেই বেলারুশ সীমান্তে তৃতীয় দফার বৈঠকে বসে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। সেখানে মূলত যুদ্ধের কারণে তৈরি হওয়া মানবিক সমস্যা ও সাধারণ মানুষদের উদ্ধারের জন্য মানবিক করিডর তৈরির বিষয়েই আলোচনা করা হয়েছিল। দুই পক্ষই মানবিক করিডর তৈরি করতে রাজি হওয়ায়, রাশিয়ার তরফে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, আলোচনার মাঝেও হামলা থামায়নি রাশিয়া। এবার ইউক্রেনের পশ্চিমভাগে বোমা-মিসাইল বর্ষণ শুরু করেছে রাশিয়া। একাধিক বিমানবন্দরের উপরে লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করে এয়ারবেসগুলি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী কিয়েভ থেকে উত্তর পূর্বে অবস্থিত চেরনিহিভ শহরে ভারী গোলাবর্ষণের খবর মিলেছে। হামলা চলছে দেশের দক্ষিণ প্রান্তের শহর মাইকোলাইভ শহরেও। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গোলাবর্ষণের জেরে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারিউপোলে একদিনেই কমপক্ষে ২২ বার ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শহর থেকে প্রায় ১০০টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে মাইকোলাইভ ও খারকিভ পুনর্দখলের চেষ্টা করছে ইউক্রেনীয় সেনা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জ়েলেনস্কি সোমবারই ফের একবার ন্যাটোর কাছে আর্জি জানান যে, তারা যেন ইউক্রেনের উপরে নো-ফ্লাই জ়োন ঘোষণা করা হোক। যদি এখনই ইউক্রেনের আকাশপথ বন্ধ না করা হয়, তবে আগামিদিনে ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির উপরেও হামলা চালাতেও দু’বার ভাববে না রাশিয়ার বাহিনী। রবিবারই ইউক্রেনের মিলিটারি বেসের উপরে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফেও দ্রুত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে আক্রমণ থামানোর আর্জি জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার জেরে যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই উদাহরণ টেনেও গোটা ঘটনার সমালোচনা করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময়/এমজেড