২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:২১:০৩ অপরাহ্ন


বগুড়ায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২৩
বগুড়ায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার ফাইল ফটো


বগুড়া পৌরশহরে বাড়ির বারান্দা থেকে তাসলিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছ পুলিশ। শোবার ঘর থেকে তার ৩ বছরের সন্তান কাজিম আলীকে হাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশু কাজিম গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। নিহত তাসলিমা বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী।

বগুড়া সদর থানা পুলিশ জানিয়েছে, গৃহবধূ তাসলিমার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে উপর্যপুরি আঘাত করে থেঁতলে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া শিশু কাজিমের মাথায়ও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। তাসলিমার মরদেহের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাসলিমার সঙ্গে তার ভাবি মল্লিকা খাতুনের কথা হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাসলিমার মোবাইল নম্বরে কয়েকদফা কল দিলেও বন্ধ পেয়ে মল্লিকা ব্যর্থ হন। রাতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে স্বামী সিরাজুল চাবি দিয়ে বাড়ির মূল ফটক খুলে বারান্দায় স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে শিশু কাজিমকে হাত বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

ক্রাইম সিনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও র‍্যাব-১২ বগুড়া একাধিক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।

নিহতের স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ফিরে এসে তাসলিমার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই। দুপুরের পর থেকেই তাকে মোবাইল ফোনে পাচ্ছিলাম না। ভেবেছিলাম ছেলে ফোনে গেমে খেলে বন্ধ করে রেখেছে। এসে দেখি সব শেষ। কারও সাথে আমার শত্রুতা নেই। জানিনা ক্ষতি কে করলো।

নিহতের ভাবি মল্লিকা খাতুন বলেন, সকালে তাসলিমার সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর থেকেই নম্বর বন্ধ পেয়েছি। আমাদের কারও সাথে শত্রুতা নেই। বাড়ির টাকা -পয়সা ও গহনা সব ঠিকই আছে। শুধু তার মুঠোফোন নিয়ে গেছে খুনিরা। পরিচিত কেউই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। কিছু ক্লু হাতে এসেছে। একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।