০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০২:৩৪:৫৮ অপরাহ্ন


ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে, মাত্র ৩ মাসেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৯-২০২৩
ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে, মাত্র ৩ মাসেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ ফেসবুকে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে, মাত্র ৩ মাসেই স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ


সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে। তবে দম্পতির সম্পর্ক স্থায়ী হল না। স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের নাম হল ইশান দাস। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, মৃতার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃতার নাম হল পিঙ্কি দাস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইশানের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ হয়েছিল পিঙ্কির। তারপরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ক্রমে তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিন মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তবে তাদের বিয়ে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়েছে। দুই পরিবার বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিল। তখন দুজনে পালিয়ে বিয়ে করে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কির উপর নানাভাবে অত্যাচার করতে শুরু করে ইশান এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর পিঙ্কির শ্বশুরবাড়ি থেকে জানানো হয় পিঙ্কি অসুস্থ। পরে সোনারপুর হাসপাতালে গিয়ে পিঙ্কির পরিবারের লোকেরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাদের অভিযোগ, পিঙ্কির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এরপরে ইশান এবং তার পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে পিঙ্কির পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইশানকে গ্রেফতার করেছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিত মোল্লা জানিয়েছেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। 

যদিও ইশানের পরিবারের দাবি, পিঙ্কি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। তবে সেই দাবি মানতে নারাজ পিঙ্কির পরিবারের সদস্যরা। পিঙ্কির মা লক্ষ্মী মাইতি জানান, তাঁর মেয়ে সম্প্রতি চিন্তার মধ্যে ছিল। তার ওপর নানাভাবে অত্যাচার করা হত। সকালে মেয়ে ভালো ছিল, কিন্তু রাতে হঠাৎ তিনি জানতে পারেন এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ, পিঙ্কির সারা শরীরে মারের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এই ঘটনায় ওই ছেলেটির শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। লক্ষ্মী মাইতি জানান, তাঁর মেয়ের এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। তবে ছেলেটি তাকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করত। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবে বলে ছেলেটি ব্ল্যাকমেল করত। তাই শেষে তাঁর মেয়ে ছেলেটির সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে। তবে বিয়ের পরে তাঁর উপর অত্যাচার করা হচ্ছিল বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।