২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৯:২৮:১১ অপরাহ্ন


ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা খাওয়ালেন
রিয়াজ উদ্দিন :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২২
ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা খাওয়ালেন ইউক্রেনীয়রা যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা খাওয়ালেন


যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সেনার সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণের ভিডিও এখন ভাইরাল। ইউক্রেনীয়দের একটি দল এক যুদ্ধবন্দি রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা ও খাবার দিচ্ছে এবং যুদ্ধস্থল থেকেই সৈন্যের মাকে ফোন করে ছেলের সুস্থ থাকার বার্তা দিয়ে নেটিজেনদের মন জয় করেছেন ইউক্রেনীয়রা।

রাশিয়ান সৈন্যকে গরম চা এবং পানিখাবার দেওয়ার তথা রাশিয়ান সৈন্যের প্রতি সমবেদনা দেখানোর এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে  দেখা গেছে একজন ইউক্রেনীয় মহিলা ওই সৈন্যকে শান্ত করছেন, অন্য একজন সৈন্যের খাওয়ার জন্য এক টুকরো পেস্ট্রি ধরে রেখেছেন। যুদ্ধবন্দি ওই সৈন্য অবিরাম কাঁদছেন।

“টেলিগ্রামে প্রচারিত অসাধারণ এক ভিডিও। ইউক্রেনীয়রা একজন বন্দি রুশ সৈন্যকে খাবার ও চা দিলেন এবং সেনার মাকে ফোন করে জানালেন যে তার ছেলে ঠিক আছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েছে ওই সৈন্য। এই ভিডিওর সংবেদনশীলতা আর পুতিনের বর্বরতা দু’টোর তুলনা করুন,” বলেন সাংবাদিক ক্রিস্টোফার মিলার। ভিডিওটি ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়েছে, ২৭,০০০ এরও বেশি মানুষ এটি লাইক করেছেন।

একজন লিখেছেন, “সহানুভূতি, গরম চা এবং ঘরে তৈরি কেক রাশিয়ার হাইকমান্ডের নিস্তরঙ্গ হৃদয় গলানোর উপায়”, অন্য একজন অবশ্য বলেছেন, “ক্যামেরাতে যুদ্ধবন্দিদের দেখানো অনুচিত।

দ্য ইউ.এস. সান জানিয়েছে, ওই ভিডিওতে এক ব্যক্তি বলছেন, “এই যুবকদের তো দোষ নয়। তারা জানেও না কেন তারা এখানে এসেছে। ওরা পুরনো মানচিত্র ব্যবহার করছে, রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যরা এই মুহূর্তে বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। তাঁদের ‘সবাইকে গুলি করতে’ বলা হয়েছে ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের খাদ্য ও জ্বালানি সহ নানান সম্পদেরও অভাব রয়েছে। খাবারের অভাবে, রাশিয়ান সৈন্যরা যুদ্ধ এড়াতে তাদের নিজেদের যানবাহনেই হামলা করছে বলে জানা গিয়েছে। সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের প্রাক্তন অংশীদার ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র ঢের। ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষ রাশিয়ান ভাষায় কথা বলেন। ইউক্রেনের মানুষ জানিয়েছেন তারা সৈন্যদের বিরুদ্ধে নন, রাশিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে। সৈন্যদের খাবার এবং চা দেওয়া স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে যুদ্ধের আবহেও মানুষের মধ্যে সংবেদনশীলতা সম্পূর্ণ ঘুচে যায়নি।

রাজশাহীর সময় / এম আর