প্রতিরোধ ধরে রাখতে ইউরোপের দেশেগুলির কাছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধবিমানের দাবি করেছিলেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইউক্রেনের আবেদনে সাড়া দিল আমেরিকা। যুদ্ধবিমান দিয়ে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পোল্যান্ডকে অনুরোধ করল হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলির সঙ্গে তারাও আলাদা করে কথা বলছে।
হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘‘এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে পোল্যান্ডের সঙ্গে। এর ফলে পোল্যান্ডের যে ক্ষতি হবে, তা পূরণ করে দেওয়া হবে।’’ তবে কী ভাবে ক্ষতি পূরণ করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
ওই মুখপাত্র বলেন, ‘‘ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান পাঠানোর বিষয়টি যে কোনও দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। পোল্যান্ড যদি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, তবে বিমানের রসদের যোগান দিয়ে আমেরিকা সাহায্য করবে। কী ভাবে তা পাঠানো হবে তা বলে দেওয়া হবে।’’
শনিবার একটি জুম কলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেন আমেরিকা ও পোল্যান্ডের প্রতিনিধিরা। পরে প্রেসিডেন্ট জানান, পোল্যান্ড রাজি হয়েছে মিগ বিমান পাঠাতে। তারা আমেরিকার মতামতের জন্য অপেক্ষা করছে। তার পরই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে সদর্থক মত এল।
যুদ্ধের মাঝে আটকে থাকা নিরীহ মানুষদের পথ করে দিতে শনিবার পাঁচ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে রাশিয়া। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যুদ্ধবিরতি ভেঙে ফের বোমাবর্ষণ করার। ক্রেমলিন আবার অভিযোগ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি বৈঠকের মধ্যস্থতাকারী ডেনিস কিরিভকে খুন করেছে ইউক্রেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর