খেজুরকে যদিও ইংরেজিতে বলা হয় সুগার ডেটস, তবে ক্যান্ডি বা অন্যান্য মিষ্টি থেকে হাজার গুণ বেশি স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। খেজুর পরিপাকতন্ত্রের কাজকে মসৃণ করে। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রনসহ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ। খেজুরে রয়েছে উচ্চ ফাইবার, ফলে এতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে।
তাই নাস্তায় মিষ্টির চাহিদা পূরণ করে খেজুর। মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে চকলেটের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার দরকার হবে না। চকলেটের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে খেজুর।
নিয়মিত ৩-৪টি খেজুর খাওয়া শরীরের জন্য খুব ভালো। আসুন, প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার কয়েকটি উপকার জেনে নিই-
১. খেজুর রক্তনালীর জন্য ভালো। খেজুর খেলে রক্ত ধমনী পরিস্কার থাকে। রক্তচলাচলে কোন বাধার সৃষ্টি হয় না। ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুকি কমে।
২. গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ খেজুর খেলে যকৃত ভালো থাকে এবং যকৃতকে শক্তিশালী করে।
৩. খেজুরে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং এলডিএল কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমায়।
৪. খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, যা চোখ ও কর্ণিয়ার জন্য খুব ভালো। ভিটামান এ চোখের কর্ণিয়াকে পুনরুজ্জীবিত করে। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে। এগুলো চোখকে রক্ষা করে।
৫. খেজুর নাস্তার একটি ভালো উপকরণ। খেজুরে চিনি রয়েছে। যা শরীরকে শক্তি দেয়। নাস্তা হিসাবে বাদামের সঙ্গে খেজুর খেলে আরো বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কারণ বাদামের চর্বি খেজুরের শক্তি আরো বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে ক্রিয়াবিদদের খাবারের তালিকায় এ জাতীয় খাবার থাকে। ফলের সঙ্গে খাওয়ার কারণে ভিটামিন ব্রেনকে কাজের প্রতি আরো বেশি উদ্দীপনা দেয়।
৬. খেজুর বদহজম রোধ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও বুকের জ্বালাপোড়া থেকে উপশম দেবে খেজুর। খেজুরে থাকা অ্যামিনো এসিড ও ফাইবার খাবার হজমে সাহায্য করে।
৭. খেজুরে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে যা ফোলা ও ব্যথায় আরাম দেয়। এছাড়াও খেজুরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়্যাল প্রভাব রয়েছে। ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।