হাই তোলা ক্লান্ত শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি বা কোনও কিছু নিয়ে বিরক্ত হই, তখনই আমরা হাই তুলি। সাধারণত, যখন আমরা ক্লান্ত থাকি, তখন তাদের হরমোনগুলি শরীরকে সতর্ক করার জন্য হাই তোলার সূত্রপাত করে।
এটি একটি স্বাভাবিক চিকিত্সা প্রক্রিয়া, তবে যদি বারবার হাই তোলা হয় তবে এটিকে স্বাভাবিক বলা ভুল হতে পারে। আসলে, সারা দিন ঘন ঘন হাই তোলা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। চলুন আজ জেনে নেই যে যদি বারবার হাই উঠতে থাকে তাহলে তা শরীরের জন্য কতটা বিপজ্জনক-
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ যদি দিনে তিন থেকে চারবার হাই তোলে, তাহলে সেটা স্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু পাঁচ মিনিটে তিনবারের বেশি হাই তোলা সেটা একটা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর পেছনে প্রথম লক্ষণ হল শরীরের প্রচুর ঘুমের প্রয়োজন যা পূরণ হচ্ছে না। এটি স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে।অনেক সময় কাজের চাপ, অনিদ্রা, নাক ডাকা বা ক্লান্তির কারণে পরিপূর্ণ ও ভালো ঘুমতে পারে না এবং এতে ঘুমের সমস্যা হয়। এমন পরিস্থিতিতে বার বার হাই আসে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দীর্ঘদিন ধরে কিছু ওষুধ খাওয়া হয়, তাহলে এর কারণেও ঘন ঘন হাই উঠতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এই জাতীয় ওষুধগুলিতে অ্যান্টিসাইকোটিক বা অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার কারণে হাই তোলা বেশি হয়। আবার অনেক সময় ব্রেন ডিসঅর্ডারের কারণেও বারবার হাই উঠতে থাকে। পারকিনসন্স, মাইগ্রেন, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো মস্তিষ্ক সংক্রান্ত রোগের কারণে একজন ব্যক্তি বারবার হাই তোলে। এমনকি কারো যদি দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপের সমস্যা থাকে, তার বারবার হাই তোলে।
ঘন ঘন হাই তোলা হার্টের বিপদের লক্ষণ হতে পারে। আসলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলেই বারবার হাই আসে। অক্সিজেনের অভাবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। যদিও অতিরিক্ত হাই তোলা হার্ট অ্যাটাকের সরাসরি লক্ষণ নয়, তবে এটি শরীরে অক্সিজেনের কম সরবরাহ নির্দেশ করতে পারে।