২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:০২:১৭ অপরাহ্ন


বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৩-২০২২
বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান ফাইল ফটো


দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। টাইগারদের ১৫৫ রানের জবাবে ৯৪ রানেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীদের ইনিংস।

মাত্র এক রানেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। ২ বল খেললেও শূন্য রানে ফিরতে হয় ওপেনার গুরবাজ আহমেদকে। ইনিংসের প্রথম ওভারে নাসুম খরচ করেছেন মাত্র এক রান। নিজের পরের ওভারে নাসুম শিকার করেছেন হজরতউল্লাহ জাজাইকেও। ৭ বলে ৬ রান করেন জাজাই। একই ওভারে তিনি ফিরিয়ে দেন দারউইস রাসুলিকেও। মাঝে মেহেদী হাসান এক ওভারে দেন ৭ রান।

নিজের প্রথম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমান উইকেট পেয়ে যেতেন, যদি না লিটন দাস উইকেটের পেছনে ক্যাচ মিস করতেন। এ ওভারে কাটার মাস্টার দেন ৬ রান। পরের ওভারে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আবার বল তুলে দেন নাসুমের হাতে। ওভারের তৃতীয় বলে তিনি তুলে নেন করিম জানাতের উইকেটও। ৮ বলে ৬ করে ফিরে যান করিম।

চার উইকেটের পতন হলে নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহম্মদ নবি মিলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। এ সময় ১৬ রান করা নবিকে আফিফের ক্যাচ বানান সাকিব আল হাসান। পরের ওভারে সাকিব তুলে নেন নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেটও। দলের হয়ে ২৬ বলে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল একটি চার ও একটি ছয়ের মার। রশিদ খানের উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। আফগানিস্তান দল যখন ৭ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে তখন মারমুখী ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন আজমতউল্লাহ জাজাই। তাকে তুলে নেন ফিজ, ২০ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জাজাই। এক পর্যায়ে ১৮ বলে ৬৬ রান দরকার ছিল সফরকারী দলের। তখন শরিফুলকে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন কাইস, যা ধরেন শরিফুল নিজেই। একই ওভারে তিনি মুজিব উর রহমানের উইকেটও তুলে নেন। তাতে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে টাইগার শিবির। এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বড় রানের ইনিংসটি আসে লিটন দাসের ব্যাট থেকে, ৪৪ বলে ৬০ রান করেন তিনি। দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২৪ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

এ ম্যাচে অভিষিক্ত মুনিম শাহরিয়ারের দিকে নজর ছিল বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের। তিনিও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি। অথচ পুরো বিপিএলে টি-টোয়েন্টি ধাঁচে ব্যাট করে তুমুল আলোচনায় ছিলেন তিনি। ১৮ বলে স্কোর বোর্ডে তিনি ১৭ রান যোগ করেন। তাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রশিদ খান। আরেক অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বিও ছিলেন অনুজ্জ্বল। ৭ বলে ৮ রান করেন তিনি।

ওয়ানডে সিরিজের পারফরম্যান্সের কারণে সমালোচিত হওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম বল থেকেই চার-ছয় মারার চেষ্টা করবেন। অধিনায়কেরও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকা হয়নি। ৭ বলে এক ছয়ে ১০ রান করে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পা দেন তিনি।

এ ম্যাচে একে একে চারজন ব্যাটার আউট হয়ে গেলেও অবিচল ছিলেন ওয়ানডাউনে খেলতে নামা লিটন দাস। ইনফর্ম এই উইকেটরক্ষক ব্যাটারই দলের হাল ধরেন। ৩৪ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাসের এটি পঞ্চম অর্ধশতক। ৪৪ বলে লিটনের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়ের মার। আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ফজল হক ফারুকি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। একটি করে উইকেট পান রশিদ খান ও কাইস আহমেদ।

রাজশাহীর সময় /এএইচ