বার্ধক্য একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যা বন্ধ করা সম্ভব নয়। যদিও বা এ নিয়ে চমকপ্রদ দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ বিজ্ঞানীরা মনে করেন, কিছু ওষুধের সাহায্যে বার্ধক্যের এই প্রক্রিয়া কমানো যায়।
চলুন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক-
হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল দ্য ইউনিভার্সিটি অফ মেইনের বিজ্ঞানীদের করা একটি গবেষণায় এটি বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় কাজ করে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা রাসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে বার্ধক্যের লক্ষণগুলি কমানোর কথা বলেছেন। "কেমিক্যাল ইনডুসড রিপ্রোগ্রামিং টু রিভার্স সেলুলার এজিং শিরোনামের গবেষণাটি ছিল। ১২ জুলাই-এ মর্যাদাপূর্ণ বৈজ্ঞানিক জার্নাল এজিং-এ প্রকাশিত হয় । এতে বলা হয়েছে যে বিখ্যাত বিজ্ঞানী ডঃ ডেভিড এ. সিনক্লেয়ারের নেতৃত্বে গবেষকদের দল, যার মধ্যে জে-হিয়ুন ইয়াং, ক্রিস্টোফার এ. পেটি এবং মারিয়া ভিনা লোপেজ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছেন। জেনেটিক ম্যানিপুলেশনের পরিবর্তে রাসায়নিক হস্তক্ষেপ ব্যবহার করে কোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন একটি রাসায়নিক ককটেল আবিষ্কার করেছেন যা বার্ধক্যকে বিপরীত করে।
ইঁদুর এবং বানরের উপর করা পরীক্ষা: ইঁদুর ও বানরের ওপর একটানা ৩ বছর ধরে করা গবেষণা শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে। গবেষকরা এমন অণু খুঁজে পেয়েছেন যা সেলুলার বার্ধক্যকে বিপরীত করতে পারে। দলটি ছয়টি রাসায়নিক ককটেল খুঁজে পেয়েছে যা NCC এবং জিনোম-ওয়াইড ট্রান্সক্রিপ্ট প্রোফাইল পুনরুদ্ধার করে। যার কারণে যৌবন পূর্ণ অবস্থা অটুট থাকে। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে মানুষের ট্রান্সক্রিপ্টোমিক বয়স বিপরীত হতে শুরু করে। ডেভিড সিনক্লেয়ার বলেন, অপটিক নার্ভ, ব্রেন টিস্যু, কিডনি এবং পেশি নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল খুবই ভালো। এই প্রক্রিয়ায় শুধু রাসায়নিক দিয়ে বার্ধক্যের উপসর্গই কমানো যায় না, কিছু শারীরিক ও মানসিক সমস্যাও কমানো যায়।