২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:৫৪:৪৪ পূর্বাহ্ন


সাবধান! জীবন শেষ করে দিতে পারে প্রিয় মোমো
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২৩
সাবধান! জীবন শেষ করে দিতে পারে প্রিয় মোমো ফাইল ফটো


আজকাল ফাস্টফুডের বাজার জমজমাট। এটি শিশু থেকে বড়, সকলের কাছেই খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে। ফাস্টফুডের বেশিরভাগ জিনিসই সাদা ময়দার তৈরি, যা সরাসরি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।

যদিও সব ফাস্ট ফুডই মানুষের প্রিয়, কিন্তু মোমো রয়েছে শীর্ষে। আজকাল প্রায় প্রতিটি রাস্তার মোড়ে এবং বাজারে মোমোর দোকান ও এর চারপাশে ভিড় চোখে পড়ে। বেশির ভাগ মানুষই নিশ্চয়ই এর অসুবিধা সম্পর্কে অবগত, কিন্তু এর পরেও বেপরোয়া ভাবে খেয়ে চলেছেন। রাঁচি RIMS-এর নিউরো এবং স্পাইন সার্জন ডক্টর বিকাশ কুমারের ট্যুইটারে শেয়ার করা একটি পোস্ট অনুসারে, মোমো আপনার জীবনকে ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট। এই মোমো একজন মানুষকে ভেতর থেকে ফাঁপা করার কাজ করে। আসুন জেনে নেই চিকিত্‍সক আর কী কী বলেছেন এই‌ মোমো নিয়ে-

১. মোমো ময়দা দিয়ে তৈরি হয়। ময়দা হল গমের একটি পণ্য যা থেকে প্রোটিন এবং ফাইবার নিষ্কাশন করা হয় এবং এতে শুধুমাত্র মৃত স্টার্চ অবশিষ্ট থাকে। ময়দায় প্রোটিন না থাকার কারণে এর প্রকৃতি অম্লীয় হয়ে যায়, এটি শরীরে গিয়ে হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণ করে। ময়দা ভালোভাবে হজম হয় না এবং অনেক সময় আমাদের অন্ত্রে আটকে যায়। এটি আমাদের অন্ত্র ব্লক করে দিতে পারে এবং এটি ভিন্ন ভিন্ন রোগের জন্ম দেয়।

২. আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে বাড়িতে তৈরি মোমো কিছুটা হলুদ এবং বাজারেরগুলি সম্পূর্ণ সাদা। এটা এজন্য কারণ এটি সাদা এবং নরম করার জন্য ব্লিচ, ক্লোরিন গ্যাস, বেনজয়েল পারক্সাইড, অ্যাজো কার্বামাইড যোগ করা হয়। এই রাসায়নিকগুলি আমাদের কিডনি ও অগ্ন্যাশয়ের ক্ষতি করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. ঝাল লাল লঙ্কার চাটনি যেমন চটপটা, তেমনই এটি নিম্নমানের, যার কারণে পাইলস, গ্যাস্ট্রাইটিস, পাকস্থলী ও অন্ত্রে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

৪. কিছু মোমো বিক্রেতা মোমোতে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট (MSG) নামক রাসায়নিক যোগ করে, যা এর স্বাদ বাড়ায় এবং এটিকে সুগন্ধযুক্ত করে তোলে। কিন্তু এই MSG-তেই স্থূলতা বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর সমস্যা, বুকে ব্যথা, হৃদস্পন্দন ও বিপি বৃদ্ধির মত সমস্যা দেখা দেয়।

৫. কিছু জায়গায় নন-ভেজ মোমোতে মৃত পশুর মাংস মেশানো হয় এবং পচা রাস্তার সবজি ভেজ মোমোতে দেওয়া হয়, যার কারণে অন্যান্য ধরনের সংক্রমণও হয়।