১৩ মে ২০২৪, সোমবার, ০৪:৫৫:৩০ অপরাহ্ন


দুদিন ধরে পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৮-২০২৩
দুদিন ধরে পানির নিচে চট্টগ্রাম নগরী চট্টগ্রাম নগরে ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে আছে। ছবি: সময় সংবাদ


বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি যেন চট্টগ্রামবাসীর পিছু ছাড়ছে না। স্বল্প থেকে ভারি বৃষ্টিতে সড়ক ছাপিয়ে ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় পানি। টানা বর্ষণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দুদিন ধরে পানির নিচে নিমজ্জিত চট্টগ্রাম মহানগরী। শনিবারও সকাল থেকে কখনও থেমে থেমে, কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে।

প্রশস্ত সড়কগুলো যেন একেকটি স্রোতস্বিনীতে পরিণত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে  ভারি বর্ষণে নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাদুরতলা, জিইসি মোড়সহ নিচু এলাকাগুলো পানির নিচে তলিয়ে যায়। নগরীর নিম্নাঞ্চলের এক-তৃতীয়াংশ এলাকায় পানি থইথই অবস্থা। অনেক সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গাড়ি যত্রতত্র বিকল হয়ে পড়ে থাকে দীর্ঘ সময়। ফলে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে আটকে থাকতে হয়েছে।

শুক্রবার ও শনিবারের দুই দফা সারাদিনের বৃষ্টিতে নগরীর সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়।  তবে প্রতিবছরই ভারি বর্ষণে চট্টগ্রামবাসীকে এমন দুর্ভোগ সহ্য করতে হচ্ছে।

সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বর্ষণে স্থবির হয়ে পড়ে নগরজীবন। সারা দিনেও সূর্যের দেখা মেলেনি।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, শনিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে শনিবার সারাদিন বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়রের বাস ভবন। জলাবদ্ধতার হাত থেকে পরিত্রাণ পাইনি রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসাটিও। হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় মেয়রের বাসভবনের উঠান, সামনের রাস্তাও।

শুধু মেয়রের বাসভবন নয়, নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাদুরতলা, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন নিচু এলাকা ডুবে যায়। পানি প্রবেশ করে বাসাবাড়ি, দোকানেও। এতে রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা রবিউল জানান, যেখানে মেয়রের বাস ভবন, দুইদিন ধরে পানির নিচে তলিয়ে আছে; সেখানে চট্টগ্রামবাসীর কী অবস্থা তা অনুধাবন করা যায়।

বাদুরতলা এলাকার ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম জানান, দুইদিন ধরে পানির কারণে দোকান খুলতে পারিনি। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা চললেও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।

সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএর মধ্যে সমন্ধয়হীনতার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ১১ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ চললেও তার সুফল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী।