রাজশাহীর তানোরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১৮ লাখ আত্মসাৎ, অতঃপর বিয়ের মাত্র ৫ দিন পরেই স্ত্রীকে এক তরফা তালাক দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারককে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক প্রতারকের নাম নাম নাজির হোসেন (৩৭)। সে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) কলমা গ্রামের বাসিন্দাআব্দুল হামিদের পুত্র। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদি হয়ে প্রতারক নাজিরকে আসামি করে তানোর থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জৈনক সহকারী শিক্ষকের (স্বামী পরিত্যক্তা) সঙে প্রায় এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সুত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নাজিরের। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় ওই শিক্ষকের কাছ থেকে ১১ লাখ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক নাজির।
এদিকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ তানোর ভূমি অফিসের সামনের রাস্তায় এক সঙ্গে ৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয় নাজির। কয়েক দফায় সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক কথিত প্রেমিক নাজির। এমতাবস্থায়
গত ২০ এপ্রিল নাজির হোসেন তার প্রেমিকা ওই সহকারী শিক্ষককে তানোর পৌর সভার কাজী আব্দুল মতিনের কাছে নিয়ে রেজিস্ট্রীর মাধ্যমে বিয়ে করেন। কিন্ত্ত বিয়ের পর কৌশলে (স্ত্রী) প্রেমিকাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে প্রেমিক নাজির হোসেন আত্মগোপণ করেন।
এদিকে বিয়ের মাত্র ৫ দিন পর গত ২৫শে এপ্রিল নাজির তার স্ত্রীকে এক তরফা তালাক দিয়ে ডাকযোগে তালাকের কাগজ (স্ত্রী) প্রেমিকার বাবার বাড়ি ও স্কুলের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন।এমতাবস্থায় গত ১১ মে শনিবার নাজির হোসেন কলমা গ্রামের বাড়ি আসলে উভয় পরিবারের লোকজন তাকে আটক রেখে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন।কিন্ত্ত বিষয়টি সমাধানে ব্যর্থ হন উভয় পক্ষ। গত ১২মে রোববার তানোর থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ প্রতারক কথিত প্রেমিক নাজির হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় (স্বামী পরিত্যক্তা) সহকারী শিক্ষক ওই প্রেমিকা বাদি হয়ে তানোর থানায় মামলা করেন। এবিষয়ে
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এঘটনায় তানোর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতারক প্রেমিককে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তিনি বলেন, প্রতারক কথিত প্রেমিক নাজির হোসেন এর আগেও ২টি বিয়ে করেছে।