সিগারেট খাওয়ার ফলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়। প্রথম ক্ষেত্রে না হলেও দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ঠোঁটের কালো দাগ দূর করা যায়। তবে তা-ও বেশ কঠিন।
আবার সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি, কোনো কিছুর অ্যালার্জি, অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন, হরমোনের সমস্যা, রোগভোগ ইত্যাদি কারণেও ঠোঁটের রং কালো হয়ে যায়।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে হলে প্রয়োগ করা যেতে পারে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা।
কী করবেন?
১। সুখটান বন্ধ - ধূমপানের কারণে ঠোঁট কালো হলে প্রথমেই যেটা করতে হবে তা হল সিগারেটে সুখটান দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অনেকেই বলবেন এটি মুখের কথা নয়। কিন্তু তবুও এটিই প্রাকৃতিক ভাবে আবার ঠোঁটের রং ফিরিয়ে আনতে পারে।
২। মধু চিনি - মধুর সঙ্গে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। তা ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন নিয়মিত।
৩। গোলাপ দুধ - গোলাপের পাপড়ির মতো রং পেতে ঠোঁটে গোলাপের পাপড়ির টোটকা অনেকেই করে থাকেন। এ জন্য গোলাপের কয়েকটা পাপড়ি আধ কাপ দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। এর পর দুধ দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে নিন। প্রতি দিন নিয়ম করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। পাতিলেবু চিনি - একটি পাতিলেবুর পাতলা টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতি দিন ঠোঁটে ঘষুন। এতে উপকার পাবেন। কারণ চিনি ঠোঁটের মরা চামড়া পরিষ্কার করে এবং লেবু সূর্যালোকের ফলে কালো হওয়া চামড়াকে উজ্জল করে।
৫। দুধ - ঠোঁটের কালো রং দূর করতে ল্যাক্টিক অ্যাসিড খুবই উপকারী। নিয়মিত দুধ খান। সঙ্গে খানিকটা দুধের মাটা তুলোয় করে নিয়ে ঠোঁটে ঘষুন। এতে শুষ্ক চামড়া উঠে যাবে, দুধ ঠোঁট কালো হওয়া থেকে প্রতিরোধ করে।
৬। লেবু গ্লিসারিন - লেবুর রসে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েক দিনেই চমত্কার ফল পাবেন।
৭। মধু চিনি বাদাম তেল - বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রণ করুন। ঠোঁটে লাগান নিয়মিত। ঠোঁটকে সুন্দর ও কোমল করবে।
৮। পালং পাতা জাফরান - ঘুমোনোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন। তার সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে নিতে পারলে আরও ভালো। কালো দাগ মুছে সুন্দর হয়ে উঠবে ঠোঁট।