বর্তমানে শাক-সবজি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ক্ষতিকারক সব ফাস্ট ফুড হয়ে উঠেছে আমাদের নিত্যদিনের খাবার। সে কারণেই আমরা ভুগছি একাধিক জটিল-কঠিন রোগে। তাই খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, হাতের কাছে পাওয়া যায় উপকারী এমন কিছু শাক ও সবজি নিয়মিত খেলেই আমাদের স্বাস্থ্যের উপকার মিলবে।
সহজেই পাওয়া যায় এমন শাকের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো লাল শাক। চলুন তবে জেনে নিই লাল শাক খেলে মুক্তি পাবেন যেসব জটিল-কঠিন সমস্যা থেকে-
কোলেস্টরল কমায়: লাল শাককে বলা হয় কোলেস্টরলের যম। রক্তে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা রক্তনালীর ভেতর জমে রক্তপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে। এতে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকসহ একাধিক রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। তাই চিকিত্সকরা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর পরামর্শ দেন। এক্ষেত্রে লাল শাক দারুণ কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল শাকে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টোরেল কমাতে সাহায্য করবে।
হজমের সমস্যা দূর করে: অনেকেই নিয়মিত বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ ধরনের সমস্যাকে গোড়া থেকে বিনাশ করতে চাইলে নিয়মিত লাল শাক খান। প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ লাল শাক হজমের সমস্যা সমাধানে জাদুর মতো কাজ করে।
হাড় শক্ত করে: হাড়কে শক্ত করতে চাইলে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। লাল শাক দেহে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে থাকে। এ শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, যা হাড়কে শক্ত করার কাজে বেশ সহায়ক। তাই হাড়ের ক্ষয়জনিত অসুখসহ যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে, তারা নিয়মিত লাল শাক খেতে পারেন।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: লাল শাককে বলা হয় ভিটামিন এ-এর ভাণ্ডার। গবেষণায় দেখা গেছে, এই শাক দিনে মাত্র এক কাপ খেলেই ভিটামিন এ-এর দৈনিক চাহিদার ৯৭ শতাংশ পূরণ হয়। চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত লাল শাক খেতে পারেন। হাতের নাগালে পাওয়া ও দামে কম এ শাক বয়সকালে ছানির সমস্যা থেকে আপনাকে রক্ষা করবে। ভিটামিন এ শুধু চোখেরই খেয়াল রাখে না, সেই সঙ্গে এ ভিটামিন দেহ থেকে ক্ষতিকারক সব উপাদানকেও বের করে দেয়। ফলে শরীরে সহজে কোনো রোগ বাসা বাধতে পারে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: লাল শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। তাই হাই প্রেশারের রোগীরা নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্তচাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর মাধ্যমে শুধু প্রেশারই কমবে না বরং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।