সারাদিনের কাজ কর্ম কিংবা বাড়ির বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে আমরা অনেকেই প্রথমেই আমাদের হাত-পা ও মুখ ভালো করে সাবান দিয়ে ধুই। এই অভ্যাস ভালো, তা আমরা সবাই জানি।তবে এর মাধ্যমে আমরা কিন্তু অজান্তেই বাইরের রোগ জীবাণু ঘরে বয়ে নিয়ে চলে আসছি।আমরা যে সাবানে হাত ধুয়ে নিলাম, তাতে কিন্তু হাতের সেই ময়লা লেগে থাকে।
সেই সাবান দিয়ে পরিবারের বাকিরাও হাত ধুইছেন। শুধু একা না বরং পরিবারের সবাই একই সাবান ব্যবহার করছি। তাহলে ভেবে দেখেছেন আমরা কি আসলে জীবাণুমুক্ত হচ্ছি নাকি জীবাণুযুক্ত হচ্ছি? ২০০৬ সালে 'ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ডেন্টাল রিসার্চ'-এক গবেষণায় বলেছে, সাবানের উপরের স্তরে কম পক্ষে পাঁচ রকম ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকতে পারে।
একটি হাসপাতালে ব্যবহৃত প্রায় ৬২ শতাংশ বার সাবানে নানা ধরনের রোগজীবাণু রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তারা। এই সংক্রামিত সাবান ব্যবহার করলে সেখান থেকে ব্যাক্টেরিয়াগুলি মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আশ্চর্যের বিষয় হলো- রোগজীবাণু বা ব্যাক্টেরিয়ায় পরিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও রোগ ছড়ানোর বিষয়ে সাবান যে নিরাপদ, তা গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, সাবানের উপর জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া গেলেও সেখান থেকে কোনও রকম শারীরিক জটিলতা হওয়ার কথা তেমন ভাবে নজরে আসেনি তাদের। যদিও পরবর্তীকালে ঘটনার ব্যতিক্রম ঘটতে পারে বলে মত গবেষকদের। সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো- তরল সাবান ব্যবহার করা।