পেঁপে অনেকের পছন্দের ফল। এই ফলটি ভিটামিন সি এবং এ এর ভাণ্ডার। পেঁপে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। পুষ্টিবিদদের মতে, পেঁপে হল ভিটামিন সি এবং এ সমৃদ্ধ কম ক্যালরির একটি রসালো ফল। পেঁপেতে হাঁপানি প্রতিরোধ এবং এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্যসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রোখে। পেঁপে এবং এর গাছের অন্যান্য অংশ যেমন-বীজ, পাতা ঔষধি গুণসম্পন্ন বলে পরিচিত। এছাড়াও পেঁপে ফোলেট, ভিটামিন এ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড এবং ফাইবারের একটি ভালো উত্স। পেঁপেতে ভিটামিন বি, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিক্সানথিন, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ভিটামিন কে রয়েছে যা শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
যদিও পেঁপে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং এতে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে, তবুও এই ফল খাওয়া সবার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাচা পেঁপে এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এটি এর রেচক বৈশিষ্ট্যের কারণে জরায়ু সংকোচনের কারণ হতে পারে। যেসব নারীদের গর্ভপাতের পূর্ব ইতিহাস রয়েছে তাদের সম্পূর্ণরূপে পেঁপে এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে গর্ভাবস্থায় পরিমিত পরিমাণে পাকা ফল খাওয়া যেতে পারে। পেঁপেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। পেঁপে রক্তের ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং পেশির ক্র্যাম্পিং কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু অতিরিক্ত ভালো জিনিস কখনও কখনও খারাপ হতে পারে।
অতিরিক্ত ভিটামিন সি কিডনিতে পাথর তৈরি করে। আপনার যদি ল্যাটেক্স অ্যালার্জি থাকে তাহলে পেঁপে না খাওয়াই ভালো। যাদের হার্টের সমস্যা আছে তাদের পেঁপে খাওয়া ঠিক নয়। পেঁপেতে উপস্থিত প্যাপেইন উপাদান হৃদস্পন্দনের গতি কমিয়ে দেয়, এর ফলে হৃদরোগজনিত জটিলতা বাড়ে। এ কারণে কারও যদি ইতিমধ্যেই কোনও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা থাকে তবে পেঁপে খাওয়ার আগে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।