১৮ মে ২০২৪, শনিবার, ০৩:১৪:৩২ অপরাহ্ন


বর্ষায় সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৬ খাবার!
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৭-২০২৩
বর্ষায় সুস্থ থাকতে এড়িয়ে চলুন এই ৬ খাবার! ফাইল ফটো


বর্ষার মরশুমে বিভিন্ন ইনফেকশন জাতীয় রোগবালাইয়ের প্রকোপ বাড়ে। জ্বর, সর্দি, কাশি তো হয়ই, সেই সঙ্গে পেটের গোলমালও লেগে থাকে। এ সময়ে সুস্থ থাকতে খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা খুব জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। খাওয়াদাওয়ায় একটু অনিয়ম করলেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। ফলে যে কোনও রোগ সহজে বাসা বাঁধে শরীরে।

তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি বর্ষাকালে যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো। এগুলি খেলে নানা অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। জেনে নিন কোন কোন খাবারগুলি বর্ষায় এড়িয়ে চলা ভালো।

পাতাযুক্ত সবজি: বর্ষায় বাতাসের আর্দ্রতা অনেকটাই বেড়ে যায়। এই আবহাওয়ায় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সক্রিয় হয়ে উঠে। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজিতে এই সময় ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক বৃদ্ধি পায়। এগুলি খেলে পেটে ইনফেকশন হতে পারে। তাই পালং শাক, মেথি পাতা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, এই সব পাতাযুক্ত সবজি বর্ষাকালে একেবারেই খাওয়া উচিত নয়।

সামুদ্রিক খাবার: বর্ষায় চিংড়ি, পমফ্রেটের মতো সামুদ্রিক মাছ না খাওয়াই ভাল। কারণ এই সময় বৃষ্টি হওয়ার কারণে জলে প্যাথোজেন এবং ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়তে থাকে। সেগুলি আবার মাছের দেহে প্রবেশ করে। ফলে এই ধরনের মাছ খেলে ডায়ারিয়া এবং অন্যান্য পেটের রোগ দেখা দিতে পারে।

ভাজাভুজি খাবার: তেলেভাজা জাতীয় খাবার যেমন চপ, পকোড়া, শিঙাড়া বর্ষায় খেতে ভালো লাগলেও, এগুলি কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। হজমের গোলমাল, ডায়রিয়া এবং অন্যান্য পেটের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে আর্দ্রতা হারাতে থাকে।

ঠান্ডা পানীয়: আর্দ্রতা এবং ঘামের কারণে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যেতে পারে। তাই হাইড্রেট থাকার জন্য প্রচুর জল পান করুন। কিন্তু ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাবেন না। কারণ এগুলো পাচনতন্ত্রকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং শরীরে খনিজ পদার্থ কমিয়ে দিতে পারে।

মাশরুম: মাশরুমগুলি স্যাঁতসেঁতে মাটিতে জন্মায়। এগুলিতে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই বর্ষাকালে পেটে গেলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ভয় থেকেই যায়। তাই বর্ষায় মাশরুম না খাওয়াই ভালো!

দই: দই ঠান্ডা প্রকৃতির খাবার। বর্ষায় দই খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা সাইনোসাইটিসে ভুগছেন, তাঁদের এই দুগ্ধজাত খাদ্য থেকে দূরে থাকাই ভালো।