সকালে এক কাপ চা না পেলে মনে হয় যেন দিনটা ঠিক শুরুই হল না৷ আসলে প্রত্যেকের রোজকার রুটিনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে এই পানীয়৷ কেউ কেউ কফির প্রতি আসক্ত হলেও চা প্রেমীদের সংখ্যাই বেশি ৷ তবে জানেন কী, এই ‘চা’ই হয়ে উঠতে পারে আপনার শরীরের শত্রু৷
অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তায় বেশিরভাগ সকলে৷ জিমে গিয়ে ওজন ঝরাতে ব্যস্ত সবাই৷ ওজন কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে চা৷ এমনটাই মত ডায়েটেশিয়ানদের৷ সম্প্রতি ডায়াটেশিয়ান ম্যাক সিং শরীর চর্চায় চায়ের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করছেন৷
‘ওজন ঝরানোর সময় চা খাওয়া ভাল নাকি খারাপ? এই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি আমাদের প্রায়শই হতে হয়৷ এক্ষেত্রে আপনাদের হতাশ করেই বলছি, উত্তরটা হল না৷ যদি সঠিক ভাবে না খাওয়া হয়, তবে ওজন ঝরানোর ক্ষেত্র বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে চা৷’’ ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন ম্যাক সিং৷
বিশেষ ভাবে এড়িয়ে চলুন দুধ চা৷ এমনটাই জানাচ্ছেন ম্যাক সিং৷ দুধ চা শরীরের ঠিক কীভাবে ক্ষতি করে তাও বুঝিয়েছেন ম্যাক সিং৷
প্রাকৃতিক ভাবেই চায়ের মধ্যে এমন সব পদার্থ থাকে যা অন্ত্রের ফ্যাট শোষণ কমিয়ে ফেলে সঙ্গে কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমায়৷ তবে চায়ের সেই কাজে বাধা দেয় দুধ৷
অতিরিক্ত চিনি
চায়ে চিনি না থাকলে চা ঠিক জমে না৷ তাই চা খেতে গিয়ে অবধারিত ভাবে অনেকটাই চিনি খেয়ে ফেলেন চা প্রেমীরা৷ চিনি যে ওজন ঝরানোর সবচেয়ে বড় শত্রু এ কথা আমাদের সকলেরই জানা৷ সারাদিন কাপের পর কাপ চা খেলে আমরা অজান্তে অনেকটাই চিনি ফেলি৷ যা নি:সারে বাড়িয়ে দিচ্ছে ক্যালোরি।
চায়ের অস্বাস্থ্যকর সঙ্গীরা
বিস্কুট, কুকিজ বা নোনতা বিভিন্নরকম স্ন্যাকসের সঙ্গে চায়ের মজা আরও ভাল জমে৷ আবার অন্যদিকে এই সব খাবার আমাদের শরীরের যথেষ্ট ক্ষতিসাধন করে৷
চায়ের মধ্যে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে৷ তবে চায়ে দুধ মেশানো হলে কমে যায় এর অনেক উপকারীতা৷ তাই দুধ ছাড়াই খান চা৷
চায়ের খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখুন এইসব গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলি৷ তবে, প্রিয় পানীয়ের থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না৷ দুধ আর চিনি ছাড়াই খেতে চেষ্টা করুন৷ আবার আদা, দারচিনি বা এলাচের মতো মশলা মিশিয়েও খেতেই পারেন চা৷ এতে চায়ের পুষ্টিগুণ আরও খানিকটা বেড়ে যায়৷ ক্ষতিকারক প্রভাবগুলিকে দূরে রাখতে বিস্কুট বা অন্যান্য স্ন্যাকস এড়িয়ে চলুন৷ বিস্কুট বা নোনতার বদলে আমন্ড, আখরোট-সহ পুষ্টিকর খাওয়ার গুলিকে বেছে নিন৷