রাজ্য জুড়ে প্রবল দাবদাহ। দেশের অধিকাংশ এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ৪০ ছুঁইছুঁই। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে মানুষের স্বাস্থ্য অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গ্রীষ্মের প্রখর তাপে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে জল শূন্যতা ও রক্তচাপ সংক্রান্ত সমস্যা বেশি দেখা যায়।
প্রায়শই মানুষের মনে এই প্রশ্নও ঘুরপাক খায় যে অতিরিক্ত গরমে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। অনেকে বিশ্বাস করেন যে অতিরিক্ত তাপ হার্টের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রচণ্ড গরমে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? আসুন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জেনে নেওয়া যাক।
ডাঃ বনিতা অরোরা, সিনিয়র কনসালটেন্ট, কার্ডিওলজি বিভাগ, ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল, নিউ দিল্লির মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে, মানুষ জলশূন্যতা এবং রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। গ্রীষ্মকালে, রক্তনালীগুলি প্রসারিত হয় এবং শীতের তুলনায় রক্তচাপ হ্রাস পায়।
যাদের কম রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের এই মরশুমে শরীরের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। যদিও এটি সরাসরি হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গরমের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে বলা ঠিক হবে না। তাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের মধ্যে সরাসরি কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও প্রতিটি ঋতুতেই মানুষের হৃদয়ের যত্ন নেওয়া উচিত।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিহাইড্রেশন এড়াতে গ্রীষ্মে মানুষের প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করা উচিত। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং এনার্জি বাড়বে। জলে কিছু লবণ মিশিয়ে পান করলে রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে ইলেক্ট্রোলাইট গ্রহণ করা যেতে পারে।
গরমে এ ছাড়াও অনেক সমস্যা হতে পারে, তবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নেই। হার্ট সুস্থ রাখতে এই সহজ ধাপগুলো মানা যেতে পারে।
১) ৪০ মিনিটে প্রতিদিন ৪ কিমি হাঁটতে হবে।
২) পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
৩) মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমানো প্রয়োজন
৪) জাঙ্ক এবং তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
৫) সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।