'ফিয়ার অব মিসিং আউট'এর জেরে দাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়লেও তাতে ত্বকের কোনও উপকার হচ্ছে কি? এই উত্তরের সন্ধান পাওয়া না গেলেও একথা প্রমাণ হয়ে গেছে যে নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বকের হাল ফেরে বৈকি! বিশেষ করে ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে দাড়ি ওড়ালে এক নয়, একাধিক উপকার মেলে।
শেভিং-এর সময় যে শুধু দাড়ি কাটা হয়, তা কিন্তু নয়! দাড়ির পাশাপাশি ত্বকের উপর জমতে থাকা মৃত কোষের স্তরও সরে যায়। ফলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লা ফিরে আসতে সময় লাগে না। তাছাড়া দাড়ি কাটার পরে আফটার শেভের ছোঁয়ায় গালে এবং মনে যে ঠান্ডা হওয়া খেলে যায়, তার আরাম ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা এমন এক অনুভূতি, যা বড়ই সুখকর। তাই তো মাঝে মধ্যে ত্বক ব্লেডের ছোঁয়া পেলে কোনও ক্ষতি তো হবেই না, বরং উপকার মিলবে হাতেনাতে!
শুনলে অবাক হবেন, নিয়মিত দাড়ি কাটলে ত্বক ভিতর থেকে নিজের ক্ষত সাড়িয়ে তুলতে সক্ষম হয়। সেই সঙ্গে ত্বকের যতটা মেলানিনের প্রয়োজন, ঠিক ততটাই উত্পাদন হয়। ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক জেল্লাও ফিরে আসে। প্রসঙ্গত, সপ্তাহে দিন পাঁচেক শেভিং করলে ত্বকে অতিরিক্ত তেলের ক্ষরণ হয় না। ফলে ব্রণয় মুখ ভরে যাওযার আশঙ্কা কমে।
ঘন ঘন দাড়ি কাটলে ত্বকের উপরিঅংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরে যায়। ফলে মেলানিন এবং কেরাটিনের উত্পাদন ঠিক মতো হয়, যে কারণে অসময়ে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার আশঙ্কা আর থাকে না। প্রসঙ্গত, শেভিং করার সময় যে ক্রিম বা জেল ব্যবহার করা হয়, তা ত্বকের অন্দরে পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই কারণেও ত্বক টানটান থাকে এবং অসময়ে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা কমে।