সন্তানের যত্নে যাতে কোনও ত্রুটি না থেকে যায়, সে দিকে কড়া নজর থাকে বাবা-মায়ের। বিশেষ করে শিশুর পাতে যাতে স্বাস্থ্যকর খাবার থাকে, সে দিকে সচেতন থাকার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ, বেড়ে ওঠার সময়ে শিশু কী খাবার খাচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে তার শারীরিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে। পুষ্টিবিদরা বেশ কয়েকটি খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খাওয়ালে সুস্থ থাকবে সন্তান।
মিলেটস: মিলেট হল ভিটামিন বি, ই, মিনারেলস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো উপাদানের সমৃদ্ধ উৎস। ফলে শিশুর যত্ন নিতে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন মিলেটের উপর। মিলেট হজম করাও খুব সহজ। বিশেষ করে বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শারীরিক গঠন মজবুত করতে মিলেট উপকারী। এ ছাড়া হাড় ও পেশি দৃঢ় করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কিনোয়া: মিলেটের মতো কিনোয়াতেও ছিঁটেফোটা গ্লুটেন নেই। উপরন্তু কিনোয়াতে রয়েছে ভিটামিন বি, ই-এর মতো উপাদান। শিশুর বেড়ে ওঠার পথে কিনোয়ার মতো খাবার কার্যকরী। ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, জিঙ্কে সমৃদ্ধ কিনোয়া পেশি থেকে হাড়— শরীরের খেয়াল রাখতে ভোলে না।
ওটস: ছোট থেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সে ক্ষেত্রে ওটস উপকারী হতে পারে। ওটসে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়ামের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান। শিশুর বেড়ে ওঠায় যে উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি ভূমিকা পালন করে। ওটস ডায়াবিটিসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সেই সঙ্গে শিশুদের স্থূলতার ঝুঁকিও কমায়।