এই সময়টায় চিকেন পক্সের প্রকোপ বেড়ে যায়। ক্রমশই বাড়ছে চিকেন পক্স ! পক্সের সংক্রমণের প্রভাব অনেকাংশে কমিয়ে দেয় সজনে ফুল, তবে এর আর কী কী উপকারিতা আছে জানলে চমকে যাবেন। সজনে গাছের ছোট ছোট ফুলের রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। পাশাপাশি এই গাছের ফল থেকে যে লম্বা সরু ডাটা পাওয়া যায় সেটা যেমন খেতেও ভাল লাগে, আবার খাওয়াটা ভীষণ উপকারীও বটে।
সেই সঙ্গে সজনের শাক অর্থাত্ সজনে গাছের পাতাও আপনি শাক হিসেবে খেতে পারেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এই শাক।
প্রতিদিন খাবারের পাতে অল্প বিস্তর শাক রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। তবে বসন্তকালে সজনের শাক বেশি করে খান। সেই সঙ্গে খাবেন এই গাছের ফুল। সজনের ফুল বসন্ত প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। মরসুম বদলের এই সময় সর্দি, কাশি, জ্বরের সমস্যা তো লেগেই থাকে। এসব কিছুর থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করবে সজনে ফুল।
সজনের পুরো গাছটাই আসলে ঔষধি গুণে ভরা। এই সজনের ডাঁটা বা ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এমাইনো এসিড রয়েছে। বাতের রোগীর জন্য দারুন উপকারী এই ডাঁটা। সজনে গাছের ডাঁটা থেকেই বাতের রোগীদের জন্য তেল তৈরি হয়। ঠান্ডা লেগে বুকে এবং গলায় সংক্রমণ দেখা দিলে সজনে ফুল খেতে হয়। এই সময় তাই সজনে ফুল ভীষণ উপকারী।
সজনে গাছের ফুলের মধ্যে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিনস ও মিনারেলস। এর মধ্যে পাবেন ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ১, ভিটামিন বি ২, ভিটামিন বি ৩, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন। এই সময় অনেকেই সজনে ফুল খান কিন্তু কিভাবে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে তা অনেকেরই অজানা।
সজনে ফুল কখনও ভেজে খেতে নেই। আলু এবং অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। সজনে ডাঁটা ঝোল কিংবা তরকারিতে খাওয়া যেতে পারে। বসন্তে মারাত্মক সব রোগের প্রকোপ থেকে বাঁচতে নিয়মিত সজনে ফুল, ডাটা কিংবা শাকের মধ্যে একটিও অন্ততপক্ষে পাতে অবশ্যই রাখুন। বাচ্চা-বুড়ো নির্বিশেষে সকলকেই খেতে হবে। বসন্তে চিকেন পক্স এবং অন্যান্য রোগের হাত থেকে বাঁচার এর চেয়ে ভাল আর কোনও উপায় নেই।