ব্রণের সমস্যায় নাজেহাল অনেকেই। অনেকের ছোট থেকেই শুরু হয় সমস্যা। হরমোনের তারতম্যের কারণে যে কোনও বয়সেই ব্রণ হতে পারে। এক বার ব্রণ হলে সহজে তা কমতে চায় না। বাজারচলতি প্রসাধনী ছাড়াও ঘরোয়া উপায়েও অনেকেই ব্রণ তাড়ানোর চেষ্টা করেন। ব্রণ নিয়ে সকলের মনে নানা রকম ভুল ধারণা রয়েছে। সেগুলির জন্যেই ব্রণ তাড়ানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে।
১। পেট পরিষ্কার না হলে ব্রণ হয়: যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে, তাঁদের যে ব্রণ হবেই, এমন কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তবে কারও যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ হয়, তা থেকে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে। তাতে ব্রণ হতে পারে।
২। অতিরিক্ত মানসিক চাপে ব্রণ হতে পারে: মানসিক চাপে ব্রণের প্রবণতা বাড়তে পারে। কিন্তু যাঁদের সাধারণত ব্রণ হয় না, তাঁদের কোনও কারণে মানসিক চাপ সৃষ্টি হলেই যে ব্রণ হওয়া শুরু হবে, তেমন নয়। তাই ব্রণের সঙ্গে মানসিক চাপের তেমন কোনও যোগসূত্র নেই।
৩। একটা বয়সের পর ব্রণ এমনই সেরে যাবে: অনেকেই মনে করেন বয়ঃসন্ধির সময়ে ব্রণ হয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এমনিই ব্রণ ঠিক হয়ে যায়। তা কিন্তু নয়। বয়সের অপেক্ষায় থেকে ব্রণের চিকিৎসা না করলে কিন্তু মুশকিল। ব্রণের সমস্যা যদি খুব বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসার বা বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন।