নওগাঁর নিয়ামতপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে নড়েচড়ে বসে কাঁচা সবজি সহ সব ধরণের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এ সময় বেগুন, করলা, পটল, আলু, টমেটো, শসা, কাঁচা মরিচ, লেবুর চাহিদা বেশি থাকায় বেড়ে যায় এগুলোর দাম।
নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার নিয়ামতপুর বাজার ও গাবতলী বাজারে দেখা যায়, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন, শসা ও লেবু। একই সাথে অতিরিক্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে করলা, আলু, ও কচুর লতি।
শুক্রবার (১২ মে) উপজেলার গাবতলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ছোলা ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের মতো এবারো স্থিতিশীল রয়েছে ছোলা ও বেসনের দাম। তবে বেড়েছে খেসারি ডালের দাম। গত সপ্তাহে খেসারি ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ -৭০ টাকা কেজিতে। অপরদিকে বেগুন প্রতিকেজি ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। আলুর দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০টাকা, বৃদ্ধি হয়েছে কাঁচা কলার দাম। তবে অতিরিক্ত দাম হাঁকানো হচ্ছে শসা ও করলা প্রতিকেজি করলার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি ও হাইব্রিড শসা যথাক্রমে ২০ ও ২৫ টাকাতে বিক্রি হলেও তার দাম চাওয়া হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, এদিকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমোর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত হচ্ছে বিক্রি, বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজের দাম।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন আগের বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ায় সব ধরণের সবজির দাম বেড়ে গিয়েছে।এদিকে বাড়তি দামের বোঝা বইতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের।
সবজি বিক্রেতারা বলেন, রমজানে সব ধরণের সবজির চাহিদা বাড়তি থাকায় বেগুন, শসার দাম একটু বেশি। তবে সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে।
সবজি ক্রেতারা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, শসা ও করলা সহ সব ধরণের সবজি এবং মাছ মাংসেরও দাম বেড়ে গিয়েছে। বাড়তি দাম হলেও নিতে হবে, কারণ পেট আছে খেতে তো হবেই।