মাতৃত্ব এক সুন্দর অনুভূতি। এর চেয়ে সুন্দর অনুভূতি বোধ হয় আর নেই এই পৃথিবীতে। এই স্বাদের সত্যিই কোনও ভাগ হয় না। সন্তানধারণ থেকে সন্তানপৃথিবীতে আসার পর থেকে মায়েরা শিশুর জন্য কী করলে ভাল হবে আর কী নয় তা নিয়ে সদা চিন্তিত থাকেন।
শিশুর লালনপালন, যত্ন করতে গিয়ে কোথাও গিয়ে নিজেদের খেয়াল রাখতেই ভুলে যান। এতেই ক্ষতি হয় শরীরের। কারণ এই গোটা প্রক্রিয়ায় মায়ের শরীরের উপর দিয়েও একটা ভাল রকমের ঝড় বয়ে যায়। তাই এইসময় শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যে সব মায়েরা বুকের দুধ খাওয়ান সন্তানকে তাঁদের শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলে হতে পারে বিপদ। কারণ মায়ের শরীরেই যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে, তাহলে মাতৃদুগ্ধ তৈরিতে সমস্যা হতে পারে। তাই মায়েদের শরীরের যত্ন নিতে ডায়েটে যোগ করতে হবে এমন কিছু খাবার যা পুষ্টি জোগাবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক নতুন মায়েদের ডায়েট প্ল্যান…
শাকসবজি খেতে হবে: শরীর সুস্থ রাখতে ও পুষ্টি জোগাতে সবুজ শাকসবজির জুড়ি নেই। গবেষণায় দেখা গিয়েছে , সবুজ সবজিতে থাকা ফাইটোইস্ট্রোজেনস মাতৃদুগ্ধ উত্পাদনে সাহায্য করে। এমনকী মায়ের দুধের উত্পাদনও বাড়ায়। তাই দিনে অন্তত একবার ব্রকোলি বা পালংশাক জাতীয় সবুজ শাক-সবজির তরকারি খান। উপকার পাবেন।
বাদাম খান: ব্রেস্টফিড করা মহিলাদের ডায়েটে অবশ্যই যোগ করা উচিত বাদাম। এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি যা মায়ের শরীরে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও বাদামে রয়েথে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা মায়েদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।
ভরসা হোক অ্যাভোকাডো: অ্য়াভোকাডোতে রয়েছে ভিটামিন B, ভিটামিন K ও ভিটামিন C যা শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এই সব ভিটামিন মায়ের দেহের পুষ্টির ঘাটতি মেটায়। গবেষণা বলছে, অ্যাভোকাডোতে উপস্থিত ফ্যাট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। তাই সুযোগ পেলেই এই বিদেশী ফল খান। তাতে মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ থাকবে।
দুগ্ধজাত খাবার হোক নিত্যসঙ্গী: সদ্য় মায়েদের রোজ দুগ্ধজাত খাবার খেতেই হবে। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর সুস্থ রাখে। ও এতে থাকা ভিটামিন D ও ক্যালশিয়াম মায়ের পাশাপাশি শিশুর শরীরও সুস্থ রাখে। তাই নিয়মিত দুধ, ছানা, পনির জাতীয় খাবার খান।