২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৮:০৮:২৮ অপরাহ্ন


নিয়ামতপুরে ফুটপাতেই চোরাই মোবাইল কেনাবেচার হিড়িক
মোঃ জাবেদ আলী (নিয়ামতপুর উপজেলা প্রতিনিধি):
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৪-২০২৩
নিয়ামতপুরে ফুটপাতেই চোরাই মোবাইল কেনাবেচার হিড়িক নিয়ামতপুরে ফুটপাতেই চোরাই মোবাইল কেনাবেচার হিড়িক


নওগাঁ নিয়ামতপুর উপজেলার সদর বাজারের বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতে চোরাই মোবাইল কেনাবেচা চলছে, নীরব ভূমিকায় প্রশাসন। প্রশাসন নানা সময়ে অভিযান পরিচালনা করলেও ধরা ছোয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে চোরাই মোবাইল কেনাবেচার এসব চোরাকারবারি। সম্প্রতি নিয়ামতপুর থানা পুলিশের নানা ধরনের উদ্যোগে অপরাধ কমে আসলেও ‘চোরাই মোবাইল কেনাবেচার ধুম পড়েছে, প্রশাসন অনেকটা নিশ্চুপ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদরে চোরাই মোবাইল বেচাকেনা কিশোর গ্যাং দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোর ও ছিনতাইকারী চক্র দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি ছিনতাই করে দালালদের মাধ্যমে এ সকল চোরাই পণ্য সরবরাহ করে  থাকে। দিন-দুপুরে প্রশাসনের চোখের সামনেই অনেকটা ‘ফিল্মী কায়দায়’ এসব চোরাই মোবাইল বাজারে বেচাকেনা চলে। আগে চোরাই মোবাইল আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসলেও এখন প্রশাসনের বিভিন্ন নজরদারির কারণে চোরাকারবারি অন্য পথ বেচে নিয়েছে। এতে করে চোরাই কারবারীদের মোবাইল বিক্রি করতে অনেকটা সুবিধা হচ্ছে এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতেও সুবিধা হচ্ছে।

সম্প্রতি, ডিবি পুলিশের জালে ধরে পড়ে চোরাকারবারি চক্রের সদস্যরা। তবে জেল থেকে বেরিয়ে এসে তারা আবারও আগের পেশায় জড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার রামকুড়া গ্রামের সামিউল ইসলাম রতন,  শ্রীমন্তপুর গ্রামের হোসাইন , গ্রামের রেজাউল ইসলাম বিপ্লব সহ আরো অনেক কিশোর গ্যাং দ্বারা এসব চোরাই মোবাইল বেচাকেনা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এসব চোরাকারবারি কাছে ঠাঁই পেয়েছে চায়না মোবাইল থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি মোবাইল ফোন । শুধু মোবাইল নয়, একটু অপেক্ষা আর বিক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারলেই চাহিদা ভেদে মিলে বাহারি মডেলের নানান দামি ইলেকট্রনিক্স জিনিস। তবে এসব চোরাই মোবাইল ক্রেতাই নিম্ন আয়ের মানুষ বলে জানা যায়। চোরাই মোবাইল কিনতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুবক বলেন, সস্তার জন্য ঝুঁকি আছে জেনেও চোরাই মোবাইল নিয়েছি। শো রুমের চেয়ে অনেক কম দামে এখানে মোবাইল পাওয়া যায়। মার্কেটে যে মোবাইল ৮-১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সে মোবাইল চোরাই মার্কেটে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে চোরাই মোবাইল বিক্রেতা বলেন, বড় থেকে ছোট সব মহাশয়কে ম্যানেজ করতে পেরেছি বলেই এতদিন ধরে চোরাই সেটের ব্যবসা করে আসছি।

নিয়ামতপুর বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ীরা বলেন, চোরাই মোবাইলের জন্য আমাদের ব্যবসায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে।  প্রশাসনের নাকের ডগায় চলে চোরাই মোবাইল বেচাকেনা। প্রশাসনের নজর দারি বাড়ানো দরকার। তারা আরোও বলেন, অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত কিশোর গ্যাং। প্রসাশন চাইলে আইন প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন,চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সদরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি নজরদারি রয়েছে। যারা চোরাই মোবাইল ফোন বেচাকেনা করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।