গ্রীষ্মের রোদের তীব্রতা বেশি। ফলে গায়ে লাগতে না লাগতেই অস্বস্তি শুরু হয়ে যায়। রোদের ভয়ে অনেকেই দরকারে দুপুরে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলেছেন। কিংবা বাইরে বেরোলেও স্কার্ফ, ও়ড়নায় নিজেকে মুড়িয়ে রাখছেন। যাতে রোদের তাপটুকু শরীর স্পর্শ করতে না পারে। কিন্তু চাইলেই কি আর রোদ এড়ানো যায়। রোদের কৃপায় গ্রীষ্মে প্রাপ্তি হয় ট্যান। তবে ট্যান পড়ার হাত থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় রয়েছে। সেগুলি মেনে চললে কিন্তু সুস্থ থাকবে ত্বক।
বাইরে বেরোলেই সানস্ক্রিন মাখুন: গ্রীষ্মে ত্বকের যত্নের অন্যতম হাতিয়ার হল সানস্ক্রিন। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের সুরক্ষা বজায় রাখতে অতি অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখতে হবে। অনেকেই বুঝতে পারেন না কত এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন। ট্যান পড়ার ঝুঁকি কমাতে এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবেই। শুধু মুখে নয়, হাত, ঘাড়ে এবং গলায় সানস্ক্রিন মাখতে হবে।
দুপুরে রোদ মাথায় নিয়ে কোথাও বেরোতে হলে লম্বা হাতা জামা পরা ছাড়া সত্যি উপায় নেই। ট্যান থেকে বাঁচতে এই সময়ে গোড়ালি ঝুল ট্রাউজারও পরাই শ্রেয়। রোদ সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে না আসে, দিনেরবেলা এমন পোশাক পরাই ভাল। খুব ভাল হয় যদি সুতির পোশাক পরতে পারেন। তা হলে অস্বস্তিও কম হবে।
প্রচুর জল খান: রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকে ট্যান পড়ার ঝুঁকি বেশি। তাই ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া জরুরি। বেশি করে জল খেলে ত্বক থাকে কোমল এবং মসৃণ। ফলে ট্যান যদি পড়েও থাকে, সে ক্ষেত্রে তা থেকে মুক্তি পেতে কিন্তু খুব চেষ্টা করতে হবে না। ত্বকের এবং শরীরের যত্ন নিতে অতি অবশ্যই প্রতি দিন ২-৩ লিটার জল খাওয়া জরুরি।
টুপি পরতে পারেন: ত্বক বাঁচাতে না হয় নিজেই নিজেকে টুপি পরালেন। তাতে ক্ষতি কিছু হবে না। বরং রোদ থেকে আড়ালে থাকবে ত্বক। ট্যান কম পড়বে। ত্বকের জৌলুস বজায় রাখতে টুপি কিন্তু দারুণ বিকল্প হতে পারে। চোখও ভাল থাকবে এতে।