অফিসে একটানা ন’দশ ঘণ্টা বসে কাজ! কর্মব্যস্ততার ফলে শরীরের হাড়, স্নায়ু সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্টিয়োপিনিয়া, অস্টিয়োপোরোসিস, অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস— এ সব অসুখ তো বটেই, সঙ্গে হাড়ের সন্ধিতে নানা জটিলতা আসতে পারে। স্নায়ুর নানা সমস্যাও এ থেকে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। পেশিতে টান, ব্যথা এ সব তো হয়ই। এমনকি, দীর্ঘ সময় এ ভাবে বসে থেকে কাজ করায় হাঁটুতে ক্ষয় হয়। হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালশিয়ামের ভূমিকা প্রধান। এর ঘাটতি তাই হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ, কিন্তু একমাত্র নয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। হাড় ভাল রাখতে সেই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
১) নরম পানীয়: গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই বোতলবন্দি নরম পানীয়তে চুমুক দেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের পানীয়ে ফসফরিক অ্যাসিড ভরপুর মাত্রায় থাকে। মাত্রাতিরিক্ত হারে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার ফলে ফসফরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হতে থাকে। এই অম্ল উপাদানটি হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
২) প্রাণীজ প্রোটিন: শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রাণীজ প্রোটিন অপরিহার্য। পুষ্টিবিদেরাও রোজের পাতে মাছ, মাংস, ডিম রাখতে বলেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু হাড় ক্ষয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
৩) চিনি: রোজের খাদ্যতালিকায় চিনির মাত্রা যত কমাতে পারবেন ততই ভাল, মত পুষ্টিবিদদের। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওবিসিটির সমস্যা ডেকে আনে না, শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমে যায়। ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়।
৪) লবণ: শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। সরাসরি হাড়ের উপর প্রভাব ফেলা ছাড়াও, লবণ কিন্তু শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। তাই বেশি লবণখাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করা প্রয়োজন। রান্নাতেও বেশি লবণ দেবেন না।
৫) কফি: মাথার যন্ত্রণা কমাতে কফির ভূমিকা অনেকেই স্বীকার করেন। কিন্তু এতে থাকা ক্যাফিন হাড়ের সমস্যার কারণ হতে পারে। কম বয়সে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে বেশি কফি না খাওয়াই ভাল।