৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে সম্প্রতি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এর পিছনে অনেক বিশেষজ্ঞই করোনাজনিত জটিলতাকে দায়ী করছেন। যদিও চিকিত্সকদের মতে, কয়েক দশক আগের তুলনায় অল্প বয়সীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
এর মধ্যে শরীরচর্চার অভাব, মানসিক চাপ, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খাওয়া, ধূমপান, তামাক খাওয়া, দেরীতে ঘুমাতে যাওয়া, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি, কম ঘুম। এছাড়াও পরিবেশ দূষণ, জেনেটিক প্রবণতা, কম ফাইবার এবং উচ্চ কার্বোহাইড্রেটসম্পন্ন খাবার গ্রহণও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। অল্পবয়সীরা ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হচ্ছেন অথচ তারা বুঝতে পারছেন না। অথচ এসব রোগ নীরবে তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কোনো উপসর্গ না থাকলেও, হৃদরোগজনিত জটিলতা হতে পারে। এ কারণে নিয়মিত হার্ট স্ক্রীনিং করা প্রয়োজন। বিশেষ করে কারও যদি পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকে তাহলে অবশ্যই আগে থেকে সতর্ক হওয়া দরকার। তাই চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, শরীরে এমন কিছু লক্ষণ আছে যা দেখা দিলে অবহেলা করা ঠিক নয়।
যেমন- বুকে ব্যথা, চাপ বা অস্বস্তি। কেউ যদি পরিশ্রমের সময় বুকে কোনও অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করেন, তা হালকা বা গুরুতর যাই হোক না কেন চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারও যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়, বিশেষ করে শারীরিক কসরতের সময় এমন হলে বিষয়টি উপেক্ষা করা ঠিক নয়। ঘাড়, চোয়াল, পেটের উপরের অংশে বা পিঠে ব্যথা করে তাহলে এটি হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে।